মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি ও চাহিদা বেশি জানুন বিস্তারিত
মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি ও চাহিদা বেশি এইসব নিয়ে আমাদের মনের বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ মালয়েশিয়াতে যাচ্ছে বিভিন্ন কাজ করার জন্য। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে মালয়েশিয়াতে বর্তমানে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি কিংবা কোন ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে গেলে ভালো হবে এবং বেতন বেশি হবে।একটি দেশে যাওয়ার আগে সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নিয়ে তারপর যাওয়া উচিত। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি ও চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে উপকৃত হতে পারবেন।.
মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি ও চাহিদা বেশি জানুন বিস্তারিত
মালয়েশিয়াতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর বেতন বেশি এবং চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু কোন কাজগুলোর বেতন এবং চাহিদা বেশি এটা আমরা অনেকেই জানিনা। যেহেতু মালয়েশিয়ায় অনেকেই যেতে চান তাহলে সে দেশে কাজের চাহিদা সম্পর্কে একটি ধারণা রাখা উচিত। মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। যেমন ধরুনঃ
- ইলেকট্রিশিয়ান।
- মেকানিক্যাল।
- ড্রাইভিং।
- ক্লিনার।
- বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কাজ।
- কনস্ট্রাকশন।
- হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে কাজ।
- বিভিন্ন ধরনের মিস্ত্রি এবং
- গবাদি পশুপালনের কাজ।
এছাড়াও মালয়েশিয়াতে কৃষি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন পাম অয়েলের কাজ করা চাহিদা রয়েছে এবং মালয়েশিয়াতে প্রচুর পরিমাণে পাম ওয়েল উৎপাদন হয়ে থাকে। আপনারা যারা কৃষি কাজের বিষয় মালয়েশিয়াতে যেতে চান তারা চাইলে পামওয়েলের কাজেও যেতে পারেন। এই কাজগুলো বর্তমানে মালয়েশিয়াতে বেশ চাহিদা সম্পন্ন।
আর যদি আপনার উপরোক্ত কাজগুলোর উপর দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে সে অনুযায়ী আপনি মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে পারেন। কেউ পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম মালয়েশিয়াতে কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
মালয়েশিয়াতে ইলেকট্রনিক্স কাজের বেতন
মালয়েশিয়াতে ইলেকট্রনিক্স কাজের বেতন অনেক বেশি এবং এই কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে বর্তমানে মালয়েশিয়াতে ইলেকট্রনিক কাজের বেতন দিয়ে থাকে মালয়েশিয়ার ২৫০০ রিঙ্গিত থেকে ৩৮০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত। যা বাংলাদেশের টাকায় কনভার্ট করলে হয় ৬০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা প্রায়। তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারছেন মালয়েশিয়াতে ইলেকট্রনিক্স কাজের বেতন কতটুকু।
মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং কাজের বেতন কত
মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত এটা নিয়ে আমাদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। প্রিয় পাঠক মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং ভিসায় যদি আপনি যেতে চান তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ডকুমেন্ট এবং ড্রাইভিং এর ওপর ভালো পারদর্শিতা থাকতে হবে।
যদি ড্রাইভিং ভালো না পারেন তাহলে ড্রাইভিং ভিসাতে মালয়েশিয়াতে গিয়ে কোন লাভ হবে না। তবে মালয়েশিয়ার বর্তমানের ড্রাইভিং ভিসার বেতন হচ্ছে ৩০০০ রিঙ্গিত থেকে ৪৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে হয় ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রায়।
মালয়েশিয়াতে ক্লিনার কাজের বেতন কত
ক্লিনার কাজ অনেক সহজ হলেও ক্লিনার কাজের বেশ কয়েকটি ধরণ রয়েছে। যেমন ধরুন রোডসাইড ক্লিনার, বিভিন্ন গ্লাস ক্লিনার, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ক্লিনার এবং মেডিকেল ক্লিনার। এই ক্লিনার এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে আপনারা এখান থেকে যেকোনো একটি ভিসার মাধ্যমে ক্লিনিং এর কাছে মালয়েশিয়াতে যেতে পারবেন।
তবে যতগুলো ক্লিনার কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কষ্টকর ক্লিনার কাজের মধ্যে রয়েছে রোডসাইড ক্লিনার। তবে রোডসাইড ক্লিনারের বেতন অন্যান্য কিনারের থেকে অনেক বেশি। ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এবং আপনার কাজে তারা বেতন দিবে ২২০০ রিঙ্গিত থেকে ৩৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মালয়েশিয়াতে কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন
মালয়েশিয়াতে কনস্ট্রাকশন কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে এটা আমরা হয়তো অনেকেই জানি। তবে এই কাজের চাহিদার ওপর বেতন নির্ভর করে সাধারণত। যেমন ধরুন এই কাজের ওপর যদি আপনার ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে দক্ষতা অনুযায়ী আপনি কাজ করলে আপনার বেতন হবে ২৮০০ থেকে ৪০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত প্রায়।
যা বাংলাদেশী টাকায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনি একেবারে কম বেতন পাবেন।
মালয়েশিয়াতে মিস্ত্রি কাজের বেতন কত
মালয়েশিয়া তে মিস্ত্রি কাজে বেতন কত এটা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। মিস্ত্রি সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে এটা আমরা সকলেই জানি। অবশ্যই এক এক মিস্ত্রির এক এক ধরনের বেতন হবে। মালয়েশিয়াতে মিস্ত্রির বেশ কিছু ধরন রয়েছে। যেমন ধরুন টাইলস মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, পানির পাইপ ফিটিং মিস্ত্রি এবং গ্লাস ফিটিং মিস্ত্রি। বিভিন্ন ধরনের মিস্ত্রি রয়েছে।
তবে আপনাদের যদি এইসব কাজের ওপর বেশ খুব অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসে বেতন পাবেন মালয়েশিয়া টাকায় ২৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় সাধারণত ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা হতে পারে প্রায়। তবে আপনি যদি এই কাজের দক্ষতা না থাকে তাহলে অন্যান্য মিস্ত্রির লেবারের সাথে কাজ করতে পারেন। এতে করে আপনি কাজ শিখতে পারবেন এবং পরবর্তীতে মিস্ত্রির কাজ করতে পারবেন।
মালয়েশিয়াতে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে কাজের বেতন
মালয়েশিয়াতে হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে কাজের বেতন কত টাকা এটা নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন। তবে মালয়েশিয়া তে হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে কাজের চাহিদা মোটামুটি ভালো। মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেল রয়েছে যেগুলোতে আপনি সরাসরি কোম্পানির সাথে প্রতিবদ্ধ করে ওই ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন।
যদি যেতে পারেন তাহলে আপনার মালয়েশিয়া টাকার বেতন হতে পারে ২৩০০ রিঙ্গিত থেকে ৩২০০ রিঙ্গিত এর মধ্যে। যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন মালয়েশিয়াতে হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের কাজের বেতন কিন্তু কম নয়।
মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি কাজের বেতন
মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি কাজের বেতন ও বেশি মোটামুটি। তবে আপনি যদি অন্য কারো রেফারেন্সের না গিয়ে নিজে গিয়ে সরাসরি ফ্যাক্টরিতে কথা বলে ওই ফ্যাক্টরির ভিসা অনুযায়ী যেতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ভালো বেতন পাবেন।
যা মালয়েশিয়া টাকায় ২০০০ রিঙ্গিত থেকে ২৮০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে। যা সাধারণত বাংলাদেশী টাকায় ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাহলে প্রিয় পাঠক আপনি বুঝতে পারছেন মালয়েশিয়াতে কিন্তু ফ্যাক্টরি কাজের বেতন ও কম নয়।
মালয়েশিয়া তে সবচেয়ে ভালো বেতন কত হতে পারে
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি এবং চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন জানবো মালয়েশিয়াতে সবচেয়ে ভালো বেতন কত হতে পারে সে সম্পর্কে। । মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ধরনের বেতন ভাগ করা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যে সকল শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদেরকে সাধারণত কিছু কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাই বাংলাদেশ থেকে যে সকল প্রবাসী মানুষের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাই তাদের সবচেয়ে ইলেকট্রিক্যাল কাজের ভিসায় বেতন অনেক বেশি। মালয়েশিয়াতে সবচেয়ে ভালো বেতন হচ্ছে সি লেভেলের নির্বাহী কর্মকর্তা। আর একজন সি লেভেলের নির্বাহী কর্মকর্তার বেতন আমেরিকান ডলারে প্রায় ৭৫০০ ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যে সকল শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে তাদের বেতন সাধারণত ১৮০০ রিঙ্গিত থেকে ৫০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে।
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা আলোচনা করলাম মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি এবং চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত। তবে এখন জানবো মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। সাধারণত যারা কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মালয়েশিয়ার যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানা উচিত।
তাহলে আপনি মোটামুটি একটি ধারণা রাখতে পারবেন। কেননা আপনি যখন জানবেন মালয়েশিয়া থেকে কত টাকা লাগে তখন আপনাকে আর কোন ধরনের দালাল কিংবা এজেন্সির লোকদের চক্করে পড়তে হবে না। অতএব কোন প্রকারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। মালয়েশিয়া সাধারণত উন্নত একটি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
এই দেশে গিয়ে শ্রমিকেরা অনেক কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। মালয়েশিয়াতে বর্তমানে শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। সেই জন্য মালয়েশিয়া কাজের জন্য যাওয়ার আগে আপনার অবশ্যই জানতে হবে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে। মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ নির্ভর করে সাধারণত আপনার ভিসার ধরন, মেয়াদ এবং যাত্রার মাধ্যমের ওপর।
সরকারিভাবে আপনি মালয়েশিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে আনুমানিক তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। যদিও সরকার ঘোষিত মূল্য খরচ সাধারণত ৭৮৯৯০ টাকা। তবে বাস্তবে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ সহ এটির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তবে অনেকে দালালের মাধ্যমে কম খরচে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার মাধ্যমে চলে যেতে পারে।
তবে এভাবে যেতে আপনার জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে যে কোন জায়গায় গ্রেফতার করে ফেলতে পারে। এজন্য অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বৈধ উপায় গেলে খরচ তুলনামূলক বেশি হয় তবে কাজের নিশ্চয়তা এবং আইনের সুরক্ষা থাকে ১০০%। কম খরচের লোভে পড়ে অবৈধ পথে না গিয়ে বিষাক্ত কোন এদেরকে কিংবা সরকারি মাধ্যমিক সঠিক প্রক্রিয়াতে যাওয়াই নিরাপদ এবং ভবিষ্যতের জন্য ভালো একটি সিদ্ধান্ত।
মালয়েশিয়াতে কোন ভিসা ভালো
মালয়েশিয়া তে কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ভিসা কিংবা এজেন্ট ভিসা অথবা ফ্রি ভিসা নেওয়া যায়। এর মধ্যে মালেশিয়া কোম্পানি ভিসা সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধা জনক। কারণ এতে করে ভিসা প্রসেসিং থাকা খাওয়া এবং ফ্লাইটের টিকিট খরচ সাধারণত কোম্পানি বহন করে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি প্রতারণা করতে পারে।
এজন্য অবশ্য আপনাকে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। মালয়েশিয়া কলিং ভিসা ও জনপ্রিয় যা নির্দিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে থাকে। আপনি যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই মালেশিয়া কোম্পানির নাম বেতন কিংবা ভিসার খরচ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন এই জন্য বিশ্বস্ত উচ্ছে থেকে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাড়াহুড়ো করে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। ঠান্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার উপায়
প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানবো সরকারিভাবে মালয়েশিয়া কিভাবে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত। মালয়েশিয়া সরকারের মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম ' আমি প্রবাসী' ফ্রি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন এখনই।ফলে এখান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে।
বি এম আই টি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে যা ছাড়া মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করা অসম্ভব। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।স্টুডেন্ট কিংবা টুরিস্ট ভিসার জন্য নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট লাগলেও কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে গেলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গেলে ডকুমেন্টস ভিন্ন হবে। আপনি বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বয়েসেলের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা কত টাকা এটা নিয়ে অনেকেই জানতে চান। আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘুরাঘুরি পছন্দ করে। বর্তমানে মালয়েশিয়া একটি শিল্প উন্নত বাজার অর্থনীতি বলে বিবেচিত। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে মালয়েশিয়া বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন প্রকার কর্মসংস্থানের সুযোগ ভ্রমণের জন্য উপযোগী মালয়েশিয়া।
এমনকি কম খরচে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করা সম্ভব। যেমন মাঝে মধ্যে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা প্যাকেজ পাওয়া যায়। যা সাধারণত ৫০০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে আপনি যদি বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম জানতে চান তাহলে সেটা পড়বে প্রায় ১ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
সিঙ্গেল এন্ট্রি কিংবা এককভাবে টুরিস্ট ভিসার দাম সাধারণত একটু কম হয়ে থাকে। তবে স্বাভাবিকভাবে ৫০০০০ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকায় টুরিস্ট প্যাকেট পাওয়া গেলেও মালেশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে ভিসার ধরন এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়। মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি ও চাহিদা বেশি সম্পর্কে বিস্তারিত ২০২৫। এছাড়াও আরো জানলাম মালয়েশিয়া তে সবচেয়ে ভালো বেতন কত হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url