বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি
বাংলাদেশের যেসব প্রবাসী বিদেশে থাকে তারা সব সময় চায় বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি সে সম্পর্কে জানতে। প্রিয় পাঠক যারা প্রবাসী তারা প্রত্যেকেই চাই তার পরিবার খুবই দ্রুত টাকা পাক।
.webp "বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি")
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি এ বিষয়ে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে মানুষ বিদেশে যায় কাজ করতে। এবং কাজ করে তারা তাদের পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। এজন্য তারা চায় দ্রুত সময়ে তার পরিবারের নিকট টাকা পাঠাতে।
এইজন্য প্রবাসীরা সবসময় এমন কিছু পদ্ধতি খুঁজে যার মাধ্যমে খুব সহজে বিদেশ থেকে খুবই দ্রুত সময় টাকা পাঠানো যায়। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটিঃ
বিকাশ
বর্তমান সময়ে বিকাশ বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে বহুল পরিচিত। এটি সাধারণত ব্র্যাক ব্যাংকের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে বিশ্বের অনেক কয়েকটি দেশ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সম্ভব। বিকাশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে খুব সহজে টাকা পাঠানো যায় কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই। এজন্য আপনি বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।
বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে টাকা প্রদানকারী ব্যক্তি নিজে তার ফোন থেকে টাকা পাঠাতে এবং টাকা চেক করতে পারবেন। বিকাশের মাধ্যমে টাকা বিদেশ থেকে আমাদের দেশে পাঠালে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমরা দেশে বসে থেকে টাকা হাতে পেতে পারি। শুধুমাত্র যে ব্যক্তি বিকাশ থেকে টাকা বের করবে তাকে প্রতি হাজারে ১৪ টাকা ব্যয় করতে হবে।
টাকা গ্রহণকারী নিজেই তার মোবাইল থেকে বিকাশ এপস ব্যবহার করে টাকায় যেকোনো সময় যে কোন জায়গা থেকে তুলতে পারবে। এছাড়া অন্যান্য মাধ্যমে টাকা পাঠালে 24 ঘন্টা বা অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেক সময় বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর সেই টাকা তুলতে এক সপ্তাহ সময় পর্যন্ত লাগতে পারে।
কিন্তু বিকাশের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই টাকা তুলতে পারবেন। এইজন্যই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে বিকাশ কে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ফলে দেশের সরকারি খাতে অনেক রেমিটেন্স যোগ হয়। এজন্য যারা নিঃসন্দেহে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে চান তারা বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে পারেন।
ওয়াইজ
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়াইজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠানোর জন্য খুবই দ্রুত কাজ করে থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে বিকাশের পরে এই প্রতিষ্ঠানটি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের বিকাশের পরে ওয়াইজ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
এই প্রতিষ্ঠানের বয়স খুব অল্প হলেও খুবই অল্প সময়ে দ্রুত এর গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুবই দ্রুত এবং নিরাপত্তার সাথে যেকোনো দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই এই অ্যাপসটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি যারা প্রবাসী ভাই আছেন তারা নিজেরাও এই অ্যাপস ব্যবহার করে যে কোন দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
এর জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এমনকি এখানে টাকা পাঠালে খুবই কম হয়েছে আপনি টাকা তুলে নিতে পারবেন। বাঙালি প্রবাসীদের জন্য এই অ্যাপসটি খুবই জনপ্রিয়। এই অ্যাপটিতে জয়েন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সকল ধরনের সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে এই মাধ্যমটি অনেক পুরাতন। দীর্ঘদিন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি টাকা আদায় প্রদানের কাজ করার সাথে যুক্ত রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত বিদেশ থেকে টাকা আদান-প্রদানের কাজ করে থাকে।
তবে বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব একটি অ্যাপ তৈরি করেছে যেখানে থেকে একজন প্রবাসী খুব সহজে এই অ্যাপস ব্যবহার করে তার পরিবারের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবে। এজন্য বিদেশ থেকে দ্রুত টাকা পাঠানোর অন্যান্য একটি মাধ্যমের মধ্যে এটা একটা। বাঙালির প্রবাসীরা যারা দেশের বাড়িতে থাকে তারা এই অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবে তার পরিবারের কাছে।
এক্স ই
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি খুবই সহজে এবং খুবই অল্প খরচে কম সময়ের মধ্যে দেশের যে কোন জায়গায় টাকা পাঠাতে পারবেন। যারা কম চার্জ দিয়ে টাকা তুলতে চান তাদের জন্য এটা সেরা একটি প্রতিষ্ঠান। তাই যারা বাঙালি প্রবাসী রয়েছে তারা অল্প খরচে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবে।
ট্যাপ ট্যাপ সেন্ড
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে ট্যাপ ট্যাপ সেন্ড খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি খুবই সহজে একজনের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন।
এটার অ্যাপস থাকার কারণে আপনি মোবাইলে অ্যাপস ডাউনলোড দিয়ে কোন রকম ঝামেলা ছাড়া এবং খুবই কম সময়ে অল্প খরচে যে কোন দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি খুবই নিরাপত্তার সাথে টাকা পাঠাতে পারবেন। আপনি কত টাকা দেশে পাঠাতে চান সেটা উল্লেখ করার পর সেন্ড অপশনে গিয়ে ক্লিক করলে মুহূর্তের মধ্যে আপনার পরিবারের নিকট টাকা পৌঁছে যাবে।
এজন্য আপনাকে অ্যাপসটির মধ্যে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করার সময় সঠিক তথ্য দিতে হবে। এই অ্যাপস ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট একটি বোনাস পাবেন ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে।
স্ক্রিল
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে স্ক্রিল খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে বর্তমানের স সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। কেননা আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে তাদের বেশিরভাগ টাকা আদান-প্রদান করে পেপালের মাধ্যমে।
যেহেতু আমাদের দেশে পেপার নেই যার জন্য এর বিকল্প হিসেবে স্ক্রিল ব্যবহার করতে পারি। এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে প্রবাসীরা খুব সহজে এবং দ্রুত সময় টাকা পাঠাতে পারবে দেশের যে কোন স্থানে।
রেমিটলি
কম খরচে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে রেমিটলি খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে এই রেমিটলি। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক কয়েকটি ব্যাংক এখন এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা আদার প্রদান করতে পরামর্শ দিচ্ছে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি খুবই কম খরচে এবং দ্রুত সময় টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন। এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম নিরাপদ মাধ্যম কোনটি
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানতে চান বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম নিরাপদ মাধ্যম সম্পর্কে। এজন্যই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলে আলোচনা করব বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম নিরাপদ মাধ্যম কোনটি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। যেসব বাঙালি ভাইয়েরা প্রবাসে থাকেন তাদের জন্য এই বিষয়টি জানা খুবই জরুরী।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে একমাত্র ব্যাংক। ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি যে কোন সময় টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এতে করে টাকা নষ্ট হওয়ার কোন ভাবেই সুযোগ থাকে না। এবং খুবই নিরাপত্তার সাথে আগামী টাকাটি পেয়ে যাবেন। আপনি উপরোক্ত যে কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন কিন্তু সেই মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু খরচ আপনার হবে।
ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে কোনরকম টাকা খরচ হবে না। এছাড়াও এখন বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ও নিরাপদ একটি পদ্ধতি হচ্ছে হুন্ডি। এই মাধ্যমে টাকা পাঠালে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। এজন্য সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে ব্যাংক। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকে আপনি সুবিধা মত তুলে নিতে পারবেন। এজন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংক।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আমাদের দেশের অনেকেই আছে যারা জানতে চান বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম কি। এছাড়াও যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছে তারা অনেকে জানে না বিদেশ থেকে কিভাবে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হয়। কিন্তু আর কোন চিন্তা নেই।আপনাদের আপনি আজকে আমার আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
আশা করছি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিদেশ থেকে ব্যাংকে কিভাবে টাকা পাঠাতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছে তারা কিছুদিন পর পর তাদের পরিবারের জন্য টাকা পাঠিয়ে থাকে। অনেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ওনিরাপদ একটি ব্যবস্থা।
এজন্য প্রবাসী ভাইয়েরা অনেকেই জানতে চান বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কেঃ
- সর্বপ্রথম আপনি বাংলাদেশের যে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান সে ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জ হাউস আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেখানে কোথায় আছে তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
- এরপর মানে এক্সচেঞ্জ হাউজে গিয়ে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে।
- ওই ফর্মটিতে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য ও সঠিকভাবে দিতে হবে।
- এরপর আপনি বাংলাদেশের যে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান সে ব্যাংকের যাবতীয় সকল তথ্য আপনাকে ওইখানে দিতে হবে। বিশেষ করে যেমন ধরুন ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং একাউন্ট হোল্ডারের নাম ইত্যাদি। এসব সফল তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে।
- এরপর আপনাকে অবশ্যই ওই ফর্মে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে।
- আপনি কত টাকা পাঠাবেন সেই সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে সঠিকভাবে।
- সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করা হয়ে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে।
- জমা নেওয়ার পর তারা আপনার কাগজপত্র সবকিছু ভালোভাবে চেক করে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব সহজেই ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দিবে।
- পরবর্তীতে সেটি আপনার পরিবার তুলে নিতে পারবে।
.webp "বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি")
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আসতে কত দিন সময় লাগে
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আসতে কত সময় লাগে এটা সাধারণত নির্ভর করে আপনি কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছেন তার ওপর। যেমন ধরুন আপনি যদি বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাহলে আপনি কয়েক মিনিটের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে 24 ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার একাউন্টে টাকা এসে পৌছাবে। অন্যদিকে আপনি হুন্ডির মাধ্যমে টাকা প্রদান করলে সর্বোচ্চ একদিন থাকবে আপনার পরিবারের নিকট টাকা পৌঁছাতে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সম্পূর্ণ অবৈধ। এখানে অনেক রিস্ক রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশের টাকা লেনদেন সর্বোচ্চ বিকাশে হয়ে থাকে।
এজন্য বিকাশের মাধ্যমে আপনি খুবই কম সময়ের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনি বিকাশ ব্যতীত যে মাধ্যমে টাকা পাঠান না কেন সর্বত্র একদিন সময় লাগবে আপনার পরিবারের নিকট পৌঁছাতে।
বিদেশ থেকে দেশে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
আপনারা অনেকেই জানতে চান বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ দেশে কত টাকা পাঠানো যায়। বিদেশ থেকে দেখে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় এটা সাধারণত নির্ভর করে কিছু বিষয়ের ওপর। যেমন ধরুন আপনি যদি বিকাশ কিংবা এরকম কোন অ্যাপস এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকেন তাহলে আপনি সর্বোচ্চ 25000 টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন।
আর যদি আপনি এক দিনে এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে। তবে ব্যাংকে আপনি একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশে পাঠাতে পারেন। তবে যদি আপনি এর বেশি টাকা প্রদান করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট লিমিট সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে হবে।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর কোন সীমাবদ্ধতা আছে কিনা
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর কোন ধরনের সীমাবদ্ধতা আছে কিনা এটা নিয়ে আমাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য অবশ্যই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ আপনি ইচ্ছা করলেই বিদেশ থেকে যে কোন সময় টাকা পাঠাতে পারবেন না। \বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম প্রমাণ দিতে হবে যে আপনি বিদেশে কোন পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
কিংবা আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কাগজপত্র আপনাকে জমা দিতে হবে। আবার ইচ্ছা করলে আপনি অনেক বেশি টাকা পাঠাতে পারবেন না কারণ অনেক বেশি টাকা পাঠানোর সময় আপনার ইনকামের সকল উৎসব সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায় বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
FAQ:বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি সে সম্পর্কে পাঠকের কিছু প্রশ্নঃ
১.বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো হবে?
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য অনেক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো অনেক বিশ্বস্ত। তার মধ্যে রয়েছে সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংকসহ আরো বেশ কয়েকটি বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকে যাবতীয় সকল তথ্য দিয়ে আপনি খুব সহজেই বিদেশ থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
২.বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে কত দিন সময় লাগে?
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে।
৩.রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম কি?
বর্তমানে সকল প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে হলে বিদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হাউজ এগিয়ে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তারপর তারা রেমিটেন্স এর অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাব করে জমা দিতে পারবে। ব্যাংক সেটার গ্রাহকের হিসাবে জমা করলে গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী সে টাকা তুলতে পারবে।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছারাও আরও জানলাম বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম এবং বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম নিরাপদ মাধ্যম কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url