সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো চেক করবেন
সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো চেক করবেন সে সম্পর্কে আমাদের পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা উচিত। প্রিয় পাঠক আমাদের অনেকের আইফোন ব্যবহার করার অনেক শখ রয়েছে কিংবা ইতিমধ্যে অনেকেরই আইফোন আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও আইফোন পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা অনেক বেশি বাজেটের কারণে নতুন iphone কিনতে পারেনা। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য পুরাতন কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন একমাত্র শেষ ভরসা। এই জন্যই আজকের আর্টিকেল নির্ধারণ করেছি সেকেন্ড হ্যান্ড iphone কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো আমাদের চেক করা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। আশা করছি আমার আর্টিকেল পড়ে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো চেক করবেন
সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো চেক করবেন সে সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। নতুন মোবাইল কেনার সময় আমাদের যাচাই-বাছাই করার মতো তেমন কোন জিনিস থাকে না কিংবা আপনি যদি নতুন ব্র্যান্ডের কোন আইকন কিনে থাকেন তাহলে যেখানে যাচাই-বাছাই করার কিছুই নেই।
নিঃসন্দেহে আপনি যেখানে অথেন্টিক কিছু পেয়ে যাবেন। কিন্তু আমরা মূলত এই আর্টিকেলটি ফোকাস করব তাদের জন্য যারা পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনতে চান। কেননা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো চেক করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যঃ
মোবাইলের মডেল
আপনি যদি সেকেন্ড হ্যান্ড বা নতুন যে কোন আইফোন কিনতে চান তার জন্য অবশ্যই আপনাকে iphone এর মডেল সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ এক একটি মডেলের উপর ভিত্তি করে আইফোনের বিভিন্ন ধরনের ফিচার চেঞ্জ হয়ে থাকে। যার কারণে অবশ্যই আপনাকে মোবাইলের মডেল সম্পর্কে জানতে হবে।
বিগত চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে রিলিজ হওয়া কোন আইফোনের মডেল কেনার জন্য। তাহলে আপনি মোটামুটি সব ধরনের ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। কোন দিকে খুব বেশি পুরনো মডেলের iphone যদি কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনি বর্তমান সময়ে আপডেট কোন ফিচার রাখতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আমি বলব যখন আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনবেন তখন চেষ্টা করবেন বিগত চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে রিলিজ হওয়া কোন আইফোন কেনার।
তাহলে এখানে আপনি নতুন iphone এর মত সব ধরনের ফিচার পাবেন এবং আপডেট একটি মোবাইল পাবেন। এজন্য সেকেন্ড হ্যান্ড iphone কেনার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মোবাইলের মডেল সম্পর্কে জানতে হবে।
মোবাইলের কন্ডিশন
মোবাইল ফোনের কন্ডিশন খুবই জরুরী একটি বিষয়। আপনি যখন কোন একটা মোবাইল কিনতে চান তখন এই মোবাইলের বডি কিংবা অন্যান্য পার্সগুলো কি কন্ডিশনে আছে সেটার উপর ভিত্তি করে আপনার মোবাইলের দাম নির্ধারণ হয়। সেক্ষেত্রে আপনি খুব বেশি পুরনো কন্ডিশনের মোবাইল ফোন বা iphone কিনতে চাইবেন না।
মোবাইল ফোনের কন্ডিশন যত বেশি পুরনো হবে সেটার দাম তত বেশি কম হবে। আর আপনার মোবাইলে কন্ডিশন যত বেশি ভালো হবে আপনার মোবাইল ফোনের দাম কত বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই আইফোনের কন্ডিশন চেক করে নিবেন।
মোবাইল ফোনটি চুরির ফোন কিনা
বর্তমান সময়ে বাজারে চুরি করা মোবাইল ফোনের পরিমাণ অনেক বেশি। আসলে নৈতিকভাবে আমরা কখনো চুরি করা মোবাইল ফোন কিনতে চায় না। কিন্তু অনেকে কম দামে পেয়ে যাচ্ছে বলে চুরি করা ফোন কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে।যা পরবর্তী সময়ে আপনার জন্য ভয়াবহ বিপদ থেকে আনতে পারে।
এজন্য এ অবস্থা থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চুরি করে মোবাইল ফোন কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে পুরাতন মোবাইল ফোন কেনার আগে আপনাকে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে মোবাইল ফোন কেনার আগে সেটা চুরি করার কি না সেটা বুঝার কিছু সিস্টেম রয়েছে।
এই সিস্টেমগুলো মানলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মোবাইল ফোনটি চুরি করা কিনা।আপনি EMEI নাম্বার ব্যবহার করে আপনার ফোনের অথেন্টিসিটি দিয়ে দেবেন সেটা চুরি করা কিনা সে বিষয়টি বের করতে পারবেন।এই বিষয়গুলো অবশ্যই সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে চেক করবেন।
মোবাইল ফোনের ব্যাটারি
আপনি যখন নতুন কোন নতুন মোবাইল ফোন কিনবেন তখন নতুন মোবাইলে ব্যাটারি চেক করার কোন প্রয়োজন হয় না। ঠিক সে রকমই Iphone যখন নতুন অবস্থায় থাকে তখন সেটার ব্যাটারি কন্ডিশন থাকে ১০০%। কিন্তু আপনি যখন নতুন আইফোন বাদ দিয়ে সেকেন্ড হ্যান্ড iphone কিনতে যাবেন তখন আপনার মোবাইলের ব্যাটারি স্ট্যাটাস অবশ্যই চেক করে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার উচিত যথাসম্ভব একশোর কাছাকাছি ব্যাটারি স্ট্যাটাস সম্পন্ন আইফোন কিনা।অবশ্যই মনে রাখবেন কখনোই আপনার ৮০% এর নিচে ব্যাটারি স্ট্যাটাস ওয়ালা ফোন কেনা যাবে না।সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো চেক করবেন।
বাহ্যিক ড্যামেজ
মোবাইল ফোনের বডি কন্ডিশন কেমন সেটা যথেষ্ট বিবেচনা করার একটি বিষয়। কেননা এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ফোন কতটুকু যত্ন সহকারে ব্যবহার করা হয়েছে। এবং কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে।আপনার সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনটি যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে মোবাইল ফোনের হার্ডওয়ার এবং ভেতরের পার্ট গুলো অবশ্যই ভালো থাকবে।
সেক্ষেত্রে আপনি মোবাইল ফোনটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি মোবাইল ফোনের বাহ্যিক অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনার মোবাইল ফোনটি বেশি দিন নাও চলতে পারে।
ক্যামেরার কন্ডিশন
আইফোন কেনার অন্যতম একটি বড় ফিটার হচ্ছে এর ভালো ক্যামেরা। এজন্য আইফোন কেনার আগে সবসময় ক্যামেরা কন্ডিশন ভালো আছে কিনা সেই বিষয়টি চেক করে নিবেন। অনেকে বলে থাকে ক্যামেরার কোয়ালিটি দেখলে বুঝা যায় আসলে কোনটা অরজিনাল আর ফোনটা নকল। এজন্য মোবাইল ফোন কেনার আগে সর্বপ্রথম আপনাকে ক্যামেরার কন্ডিশন চেক করে নিতে হবে।
ক্যামেরার কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে আপনি মোবাইল ফোনটি কিনতে পারবেন কিনা সেই বিষয়টি সিওর হতে পারবেন। আপনার যদি ক্যামেরার কন্ডিশন ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই মোবাইল ফোনটি কিনবেন না। প্রিয় পাঠক সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো চেক করবেন।
মোবাইলের দাম
সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনের দাম নিয়ে অনেকেই খুব কনফিউজড হয়ে থাকে। এক এক জায়গায় এক রকম দাম দেখতে পাবেন এবং প্রত্যেক জায়গায় দামের পার্থক্য অনেক বেশি। এজন্য সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনের দাম নির্ধারণ করাটা খুবই কঠিন একটি বিষয়। তবে এটা আপনি তখনই নির্ধারণ করতে পারবেন যখন আপনি অনেকগুলো ফোন একসাথে অনেক দিন ধরে যাচাই বাচাই করবেন।
অবশ্যই একটা মোবাইল ফোনের দাম জানার পরে অন্য মোবাইল ফোনের দামের সাথে কম্পেয়ার করে দেখবেন। এভাবে কয়েকটি মোবাইল ফোন দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোনের দাম কিরকম হতে পারে।
হার্ডওয়ার চেক করতে হবে
মোবাইল ফোনের কন্ডিশন হেডফোন দিয়ে কিংবা চার্জার পোর্ট এইসব হার্ডওয়ার অপশন গুলো ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। এসব বিষয় চেক করে না নিলে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলাতে পড়তে পারেন। আর এই অপশন গুলো যদি ভালোভাবে চেক করে নেন তাহলে পরবর্তীতে আর কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
আর এইসব হার্ডওয়্যারের মধ্যে যদি কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ওই মোবাইল ফোন না কেনাই ভালো। পরবর্তীতে সেই হার্ডওয়ারের সমস্যা ঠিক করতে আপনার অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে। এজন্যই সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে মোবাইল ফোনের হার্ডওয়্যার ভালো হবে চেক করে নিতে হবে।
নতুন iphone কেনার আগে কি কি চেক করে নিতে হবে
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড iphone কেনার আগে কি কি বিষয় আমাদের চেক করে নেওয়া উচিত। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এতক্ষণ জানলাম সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনের কোন কোন বিষয় চেক করে নেয়া উচিত তাহলে নতুন iphone এর কোন কোন বিষয়গুলো চেক করা উচিত।
প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক নতুন iphone কেনার আগে কি কি বিষয় আপনাকে চেক করে নিতে হবে। নতুন iphone কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে দেখতে হবে মোবাইলের সব গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো।গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে ক্যামেরার রেজুলেশন এবং মোবাইলের মডেল ইত্যাদি।
আপনি যদি কোন লেটেস্ট মডেলের iphone কিনতে চান তাহলে আপনাকে অনেক বেশি বাজেট রাখতে হবে।তবে আপনি যদি নতুন iphone কিনতে চান তাহলে বাজারের সবচেয়ে লেটেস্ট মডেল আইফোনটি নাই সবচেয়ে উত্তম।
সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই আরো কিছু বিষয় চেক করে নিবেন
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার অনেক ঝুঁকি রয়েছে। একটু সাবধান না হলে আপনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবধারিতভাবে ঠকে যাবেন।কেননা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনলে আপনাকে কোন রকম ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে না কিংবা মানিব্যাগ গ্যারান্টি দেওয়া হবে না।এজন্য কেনার সময় আপনাকে অবশ্যই ভালো হবে দেখে কিনতে হবে।
ঢাকাতে বেশ কয়েকটা সঙ্ঘবদ্ধ চক্র আছে যারা শুধুমাত্র আইফোর চুরি করে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়।এসব বিষয়ে কোন কোন সময় দেখা যাবে আপনি বিভিন্ন ধরনের সাথে পড়ে যাবেন।সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন কিনতে যাওয়ার আগে সেটার স্পেসিফিক্যালি কিছু ফিচার সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা উচিত। যেমন ধরুনঃ
- আইফোন হাতে নিয়ে সর্বপ্রথম দেখবেন আপনার আইফোনের আই ক্লাউডে লক কিনা। কেননা এখানে অনেক সময় কোন ইমেইল আইডি দেখা যায়। সেখানে যদি ইমেইল আইডি দেখতে পান তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার মোবাইল ফোনটি লকড। তখন সাথে সাথে আপনার মোবাইলে ফোনটি থেকে ওই অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে নিবেন।এজন্য পুরাতন মোবাইল ফোন কেনার আগে সর্বপ্রথম আপনি দেখে নিবেন এ বিষয়টি।
- কেনার আগে সর্বপ্রথম আপনি এই বিষয়টি চেক করে নিবেন।Settings>General> একদম সবার নিচে Reset>Erase All content & Settings.
- উপরের দুইটি অপশনের মধ্যে যেকোনো একটি ভালোভাবে চেক করতে পারলেই দেখবেন আপনার মোবাইল ফোন অটোমেটিক অফ হয়ে যাবে। একে কখনো আলাদা করে অফ করতে হবে না। এইসব অ্যাপস দিয়ে ফোন ট্র্যাকিং করা হয়ে থাকে। সুতরাং যদি আপনার মোবাইল ফোন চোরাই মাল হয়ে থাকে তাহলে এটা অন হয়ে থাকে পরবর্তীতে মহা বিপদে পড়ে যাবেন।
- মোবাইল ফোন কেনার আগে অবশ্যই আপনি মোবাইল ফোনের স্টোরেজ চেক করে নিবেন।যত গিগা বিক্রেতা বলছে তত গিগা আছে কিনা সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।
- আইফোনের বাইরের আবরণটি ভালোভাবে চেক করে নিবেন। এর বাইরের কোন দাগ আছে কিনা কিংবা আইফোনের একটু গুলো ভালো করে দেখে নিবেন যে আগে খোলা হয়েছে কিনা। যদি আগে কখনো ফোন খোলা হয়ে থাকে তাহলে গোড়ায় অনেক দাগ থাকবে।
- অবশ্যই সিম ট্রে বের করে ভালো করে দেখে নিবেন। সিম ট্রের ওপরে কোন সার্কিট লাগানো আছে কিনা সে বিষয়টি চেক করে নিবেন। যদি কোন ধরনের সার্কিট লাগানো থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন ওইটা গেভে আনলক করা। অর্থাৎ ফ্যাক্টরি আনলক নয়।এতে করে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে যেমন আপনি মোবাইলের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন না।এমনকি সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক সময় দেখতে পাবেন আপনার ফ্যাক্টরি লক হয়ে গেছে।
- আপনার নিজের যদি অ্যাপেল আইডি থাকে তাহলে বিক্রেতার সামনে সেটা দিয়ে লগইন করে অ্যাপস নামিয়ে ব্যাটারি সম্পর্কে খবর নিয়ে তারপর কিনবেন।এক্ষেত্রে আইফোন ফুল চার্জ হতে কতক্ষন লাগবে এবং কত সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে সেটা অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন।
- আপনি যেখান থেকে iphone কিক কিনতে যাচ্ছেন সেখান থেকে iphone এ কারো সাথে কথা বলে দেখুন। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের সাউন্ড আর মাইক্রোফোন ঠিকঠাক মত কাজ করছে কিনা বুঝতে পারবেন।
- অডিও ভিডিও প্লে করে দেখুন এবং আইফোনের ইয়ারফোন লাগিয়ে ভালোভাবে জ্যাক পরীক্ষা করে নিন।
- আপনার কেনা iphone এ ভয়েস রেকর্ড করা যায় কিনা সেটা ভালোভাবে চেক করে নিবেন। কেননা একটা অ্যাপস থাকে ভয়েস রেকর্ড করার জন্য।
- আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার চেক করে নিবেন সেটা হচ্ছে ব্যাটারি শেষবার চার্জ করার টাইম এবং বর্তমান চার্জ পার্সেন্টেজ এর দুইটা আনুপাতিক হারে মিলিয়ে দেখবেন যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। কেননা অনেক সময় ধরুন ব্যাটারি ইউজ করা হচ্ছে ৩০ মিনিট ধরে অথচ স্ট্যান্ড বাই টাইম দেখাচ্ছে এক ঘন্টারও কম। এক্ষেত্রে আপনি বুঝে নেবেন ব্যাটারি খুব বেশিদিন টিকবে না।Settings>General>Usage.
- আপনার মোবাইল ফোনের লেটেস্ট ওএস আপডেট দেওয়া আছে কিনা সে বিষয়টি চেক করে নিবেন অবশ্যই। কেননা অনেক সময় দেখা যায় চোরাই মাল হলে চোর লেটেস্ট আপডেট দিতে ভয় পাই কিংবা দিতেই পারে না।
- আপনার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের বাইরে আঙ্গুল দিয়ে টাচ করে দেখুন যে ডিসপ্লে ডিম হয়ে যায় কিনা।
- ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ এই দুইটা ফিচার কাজ করে কিনা সেটা অবশ্যই চেক করে নিতে হবে।
- আপনার মোবাইল ফোনের পাওয়ার বাটন ঠিকঠাক মত কাজ করে কিনা এটা দেখে নিবেন। কেননা অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে মোবাইল ফোনের পাওয়ার বাটন ঠিকঠাক মতো কাজ করে না কিংবা রেসপন্স করতে দেরি হয়।
- আইফোনের পাওয়ার বাটন এর পাশে যে দুটো বাটন আছে সেগুলো অবশ্যই চেক করে নিবেন।সেগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয়গুলো চেক করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছারাও আরও জানলাম নতুন iphone কেনার আগে কি কি চেক করে নিতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url