চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে জানুন

চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে জানতে চাচ্ছেন?এ বিষয়ে গুগলে সার্চ করছেন? গুগল থেকে জানার চেষ্টা করছেন।তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে জানুন
প্রিয় পাঠক আজকে আপনার সুবিধার্থে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।আশা করছি আমার আর্টিকেলটি আপনার খুবই কাজে আসবে।এজন্য শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেল করতে থাকুন।আশা করি উপকৃত হবেন।

চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে জানুন

চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে?বর্তমান যুগে ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে থাকে অনেকে।চাকরির নিশ্চয়তা নাকে ফ্রিল্যান্সিং এর স্বাধীনতা কোনটা আপনার জন্য ভালো এটা নিয়ে অনেকের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।বর্তমান যুগে সরকারি চাকরির যেমন খুবই জনপ্রিয় ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিংও সরকারি চাকরির মতোই অনেক বেশি জনপ্রিয়।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে অনেকেই স্বাধীনভাবে কাজ করে চাকরির মত মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার জন্য চাকরি নাকি ফ্রি আছেন কোনটা করা সঠিক হবে?আমরা আলোচনা করব চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সকল ধরনের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে।

যাতে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজের জন্য কোনটা সঠিক হবে সেই সিদ্ধান্তটি নিতে পারেন।তাহলে আর দেরি কেন চলুন জেনে নেই চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবেঃ

চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং

অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে থাকেন যে তারা কর্পোরেট চাকরি করবেন নাকি স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া মোটেও সহজ বিষয় নয়। এটা সাধারণত নিজের সুবিধা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এই দুই বিষয়ে নিজেকে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।

কেউ চাকরি নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে আবার কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়তো আমাদের উভয় ক্ষেত্রেই বাস্তব দিকগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে।

বিশ্বস্ততার আরেক নাম সরকারি চাকরি

যারা তাদের ইনকামের নিশ্চয়তা চান তাদের জন্য সরকারি চাকরি একটি বেস্ট অপশন হতে পারে। চাকরি ক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটি পাবেন যা আপনাকে অর্থনৈতিক দিক থেকে দুশ্চিন্তা এবং টেনশন মুক্ত রাখবে। এছাড়াও চাকরিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যেমন ধরুন বছরের নির্দিষ্ট কিছু ছুটি কাটাতে পারবেন, স্বাস্থ্য বীমা, বার্ষিক ছুটি ইত্যাদি পাবেন যেগুলো একজন ফ্রিল্যান্সার কখনোই পায় না।

 তবে চাকরির ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে অবশ্যই। আপনাকে প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময় অবশেষে যেতে হবে এবং বসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি পাওয়ার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে ধৈর্য ধরে চাকরি করে যেতে পারলে পরিশেষে আপনি মোটামুটি কিছু টাকা পাবেন।

স্বাধীনতার আরেক নাম ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখানে আমার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন এবং এটা সম্পূর্ণ আপনার হাতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এখানে নির্দিষ্ট কোন বয়সের চাপ নেই অথবা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার অফিস শুরু করতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে আপনি নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন।

এবং একজন ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একসাথে কাজ করতে পারবে। ফাইবার কিংবা আপ ওয়ার্ক সব কিছুতেই আপনি ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ সম্পূর্ণ করে দিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর আয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। চাকরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি বেতনের বেশি আপনাকে কখনোই দেওয়া হবে না।

কিন্তু এর ক্ষেত্রে আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন আপনার উপার্জন তত বেশি হবে। বিশেষ করে আপনি যখন অনেক বেশি দক্ষ হয়ে যাবেন তখন আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদেরকে অনেক বেশি কাজ পাবেন। অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনার চ্যালেঞ্জ কম নয়। প্রথমদিকে এখানে আয় করার কোন নিশ্চয়তা নেই।

অন্যদিকে যারা নতুন তাদের প্রথম দিকে কাজ পাওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। কিন্তু একবার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে গেলে এবং কাজের ভালো রেটিং পেলে কাজ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং তখন মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে।

আপনার জন্য কোনটি উপযুক্ত হবে?

চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং এই দুটি সেক্টরের মধ্যে কোনটা আপনার জন্য বেশি উপযোগী হবে তা সাধারণত নির্ভর করবে আপনার ব্যক্তিত্ব উল্লেখ্য এবং জীবনধারার ওপর। আপনি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভালোবাসেন এবং নিজের আয়ের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য ভালো একটি অপশন হতে পারে।

তবে ফ্রীলান্সিং সেক্টরে আসার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে এবং ধৈর্য ধরে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হবে। আর আপনি যদি একজন স্থিতিশীল আয়কর হতে চান তাহলে চাকরি নিরাপত্তা উপভোগ করতে চান এবং নিয়মিত একটি কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চান তাহলে আপনার জন্য চাকরি উপযুক্ত হবে।

উন্নতি করার সুযোগ আছে এবং নির্দিষ্ট কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আর আপনি যদি দুইটার সংমিশ্রণ চান তাহলেও সম্ভব। চাকরি পাশাপাশি ফ্রীলান্সিং করে অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব। নির্দিষ্ট টাইমে চাকরি করে আসার পরে তারপর থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারেন। একবার আপনার ফেলাক্সিং সেক্টরে ভালো অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে ফ্লাইট পাওয়া গেলে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিং এ ঢুকে যাওয়া সম্ভব।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ভালো হবে নাকি চাকরি ভালো হবে

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ভালো হবে নাকি চাকরি ভালো হবে এ নিয়ে বিভিন্ন দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে থাকে। সর্বপ্রথম চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং দুই বিষয়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে। কেন ধৈর্য ছাড়া চাকরি কিংবা ফ্রিল্যান্সিং কোনটাই করা সম্ভব নয়। এজন্য সকল কাজের শুরুতে আপনার ধৈর্যশীল হতে হবে। অনলাইন সেক্টরে কাজের কোন সীমানা নেই।

এখানে আপনি যত ইচ্ছা তত কাজ করে সফল হতে পারবেন। আর সরকারি চাকরির জন্য একটি নির্দিষ্ট চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে ওই চাকরি প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করতে হবে।এক্ষেত্রে আপনি ওই চাকরি পাশাপাশি অন্য কোন ধরনের চাকরি করতে পারবেন না। এতক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি সফল হতে পারছেন।

সব বিষয়ে পারদর্শিতা না দেখিয়ে এতে কোন নির্দিষ্ট একটি কিংবা দুটি বিষয় প্রকাশ করতে হবে। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করা ভালো হবে নাকি চাকরি করা ভালো হবে। যেটা থেকে আপনি বাস্তব জীবনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অবশ্যই আপনি সেটা করবেন।

স্থায়ী উপার্জনের মাধ্যম কোনটি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং?

আসলে স্থায়ী উপার্জনের মাধ্যম কোনটি এটা নির্ভর করবে আপনার পরিশ্রমের উপর। চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং দুই সেক্টরে অনেক ইনকাম করা সম্ভব। এটা আসলে নির্ভর করবে আপনি কতটুকু পরিশ্রম করতে পারেন তার ওপর কিভাবে আপনি চাকরিকে মেইনটেইন করছেন কিংবা কিভাবে আপনি ঊর্ধ্বতন ও কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন এবং তারা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট কিনা এসব বিষয়ে নির্ভর করে চাকরির ক্ষেত্রে।

আর ফ্রিল্যান্সিংয়ে এসব কোনো বিষয় হিসাব করতে হয় না। বরং এখানে আপনি নিজেই আপনার বস। আপনার নিজেই যা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে। আর স্থায়ী উপার্জন বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি? স্থায়ী উপার্জন বলতে আমরা সাধারণত বুঝি আয় কখনোই শেষ হবে না। এক্ষেত্রে স্থায়ী উপার্জনের জন্য চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং দুটি স্থায়ী উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে।

চাকরি করতে গেলে আমাদের সকাল 9 টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করতে হয় এবং এখানে মাস শেষ করে আপনি নির্দিষ্ট একটি বেতন পান। অন্য দিকে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন সে অনুযায়ী আপনি টাকা পাবেন।এক্ষেত্রে দুই দিকেই স্থায়ী উপার্জনের মাধ্যম রয়েছে।

 freelancing করলেও আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন অন্যদিকে চাকরি নির্দিষ্ট টাইমে করতে পারলেও আপনি ঢাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আমি বলব স্থায়ী উপার্জনের মাধ্যম চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং দুটিই।
চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে জানুন

ক্যারিয়ার হিসেবে কোন কাজটি সেরা?

ক্যারিয়ার হিসেবে কোন কাজটি সেরা হবে এটা নিয়ে কি চিন্তিত আছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। নিজের নির্দিষ্ট অবস্থান বুঝে আপনার জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই বেছে নিতে হবে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য। চাকরির ক্ষেত্রে দেখা গেছে এখানে যদি আপনি দীর্ঘ সময় কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য থাকতে হবে।

কিংবা এখানে যদি কোন কাজের ভুল হয় তাহলে সে কোম্পানি হয়তো আপনাকে বের করে দিবে কিংবা অনেক বকাঝকা করবে। এক্ষেত্রে আপনার ক্যারিয়ার গঠন করাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং আপনি নিজের মন মত কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনার কাজে যেতে দেরি হলে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না আর কেউ আপনাকে বকাঝকা করবে না।

আর এখানে আপনাকে কাজ থেকে কোনরকম বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করবে না। বরং সর্বোচ্চ আপনার সেদিনের টাকাটা কেটে নিবে। এর বেশি কিছুই করবে না। আর এখান থেকে আপনি নিজের দক্ষতা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসেই। এক্ষেত্রে আপনি নিজের পরিবারকে সময় দিতে পারবেন। আপনার কোন বসের আন্ডারে চলতে হবে না।

অন্যদিকে চাকরির ক্ষেত্রে অফিসে দেরি করে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এই বিষয়গুলো নেই। সুতরাং আপনার কোন জিনিসটি বেশি পছন্দ সে অনুযায়ী আপনি আপনার ক্যারিয়ারটি বেছে নিবেন। আপনার কাছে যদি উপার্জনের নিশ্চয়তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনি সরকারি চাকরি করতে পারেন।

আর যদি আপনার নিজের ইচ্ছামত মাসে ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারেন এবং এটাই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

FAQ:চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে এ বিষয়ে পাঠকের কিছু প্রশ্ন।

১.ফ্রিল্যান্সিং করলে কি বেতন পাওয়া যায়?

ফ্রিল্যান্সাররা আসলে প্রতি ঘন্টায় কাজের জন্য তার নির্দিষ্ট ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে অর্থ আদায় করে থাকে। সাধারণত এটি চলমান কিংবা দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত হয় যার কাজের পরিধি আগে থেকেই স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়। আর সে অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করে থাকে।

২.ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা অর্জন করতে কতদিন সময় লাগে?

ফ্রিল্যান্সিং এ পুরোপুরি সফলতা অর্জন করতে আপনার সাধারণত ১ থেকে ২ বছর সময় লাগতে পারে। এছাড়াও আপনি একটি দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে সর্বনিম্ন তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। এই দক্ষতা দিয়ে আপনি মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারেন।

৩.ফ্রিল্যান্সিং নতুনদের জন্য কতটুকু কঠিন?

ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য কতটুকু কঠিন এটা নির্ভর করবে আপনার ওপর। কেননা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা হিসেবে আপনার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সর্বপ্রথম একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তার উপর নির্ভর করে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্যশীল হতে হবে।

৪.চাকরি থাকলে কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?

অবশ্যই সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় আপনি কর্মরত থাকাকালীন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারেন। অফিসের নির্দিষ্ট কাজ করার পরে বাসায় এসে আপনার ইচ্ছামত আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজের উপর সময় দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে চাকরি করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা সম্ভব। এখানে দুই মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৫.ফ্রিল্যান্সিংকে কি চাকরি হিসেবে গণ্য করা যাবে?

ফ্রিল্যান্সারদের আসলে নিজস্ব কর্মসংস্থানকারী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে তাদের সময়ে এবং কাজের হারের উপর ওপর তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফ্রিল্যান্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে অভিজ্ঞতা এবং এটি অবশ্যই আপনার জীবন বৃত্তান্তে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

৬.ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে বেশি বেতনের কাজ কোনটি?

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি বেতনের কাজের মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এই ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। বর্তমানে নিজেদের ব্যবসায় বৃদ্ধি করার জন্য অনলাইন চ্যানেলের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

৭.এক নম্বর ফ্রিল্যান্সার কোন দেশ?

এক নাম্বার ফ্রিল্যান্সার সব দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটি ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বছরে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গেছে ২০২২ সালে ৬ কোটি আমেরিকান ফ্রিল্যান্সিং করেছে যা মার্কিন কর্মী বাহিনীর ৩৯%।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করা আপনার জন্য সঠিক হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছারাও আরও জানলাম বিকাশে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ভালো হবে নাকি চাকরি ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url