চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায়

চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায় এটা নিয়ে আমাদের মনের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা সল্প বেতনের চাকরি করছে কিন্তু চাকরি পাশাপাশি তারা একটি ব্যবস্থা দাঁড় করাতে যাচ্ছে। কিন্তু কি ধরনের ব্যবসা দাঁড় করানো উচিত এটা নিয়ে হয়তো কোন আইডিয়া নেই।
চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায়
অনেকেই আছে যারা গুগলে সার্চ করে থাকে যে চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুজিতে কি ধরনের ব্যবসায় দাড় করানো যায় সে সম্পর্কে। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন চাকরি করার পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করে আপনার আয় আরো বাড়ানো যায়। এ সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে হলে আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায়

চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায় এটা খুঁজে বের করা অবশ্যই একটি স্মার্ট উপায়। কারণ বর্তমানে একজন চাকরিজীবী যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে তা দিয়ে তার খরচ চালানো বা সংসার চালানো খুবই কঠিন।সেই মোতাবেক যদি একজন ব্যক্তি চাকরি করার পাশাপাশি ছোট পরিসরে একটি ব্যবসা শুরু করে তাহলে সে ভবিষ্যতের জন্য অনেক টাকা সঞ্চয় করতে পারবে।

 এবং স্বচ্ছভাবে তার সংসার চালাতে পারবে। আর ব্যবসা বলতে এমন একটি সংস্থাকে বুঝানো হয় যা অর্ধেক বিনিময়ে বক্তাদের পণ্য বা পরিষেবা সরবরাহ করে থাকে। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে ব্যবসার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে থাকে।ইসলামে ব্যবসাকে করা হয়েছে হালাল।

অন্যদিকে ইসলামে এটাও বলা হয়েছে যে একজন ব্যক্তি যদি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই তাহলে প্রথমে তাকে ভোক্তাদের কাছে সৎ এবং বিশ্বস্ত হতে হবে। এখন অনেকেই ভাবতে পারেন যে একজন চাকরিজীবী ব্যক্তিকে সারাদিন তার কর্মক্ষেত্রের সময় দিতে হয় তাহলে কিভাবে সে ব্যবসা করতে পারেন!

এজন্য আপনাদের কথা চিন্তা করে কাজ করার পাশাপাশি আপনি কোন ধরনের ব্যবস্থা করতে পারেন আজ আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায়ঃ

চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা

আপনি চাইলে চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চাকরির পাশাপাশি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবসময় একজন মানুষের সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই একজন মানুষ সারাদিন অফিস করে রাতে সময় দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারে।

তবে আপনি চাইলে চাকুরীর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সব ধরনের কাজ করতে পারবেন। একজন ব্যক্তি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তার চাকরির পাশাপাশি কাজ করতে পারবেন। আবার যদি কেউ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকে তাহলেও সম্ভব। কিন্তু একজন ওয়েব ডেভলপার যদি ওয়েব ডিজাইনের কাজের পাশাপাশি চাকরি করতে চান তাহলে সম্ভব না।

কেননা একজন ব্যক্তি সারাদিন চাকরিক্ষেত্র থেকে আসার পরে রাতে এসে খুব সহজেই তিনি কভার ফটো কিংবা ব্যানার তৈরি করতে পারবেন ৩-৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে। কিন্তু একজন ওয়েব ডেভলপার কখনোই তার প্রোগ্রামিং চার পাঁচ ঘন্টার মধ্যে শেষ করতে পারে না। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে সফলতা অর্জন অবশ্যই সম্ভব কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কাজের সব সেক্টরে সম্ভব নয়।

 ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য চাকরির পাশাপাশি কিছু করা যায় যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লক পোস্টিং ইত্যাদি। এই কাজগুলো আপনি পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় গুলোতে করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সবক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য এবং পরিশ্রম দুটোই প্রয়োজন হবে।

জমিতে বিনিয়োগ করা

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে নির্দিষ্ট মূলধন রাখতে হবে। কিন্তু সমস্ত ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে আপনার সঠিক মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন এবং এই ব্যবসাতেও আপনার প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হতে পারে। তবে অন্যান্য ব্যবসার মতো দুটি থাকলেও জমির ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসায়ী কোনরকম ঝুঁকি নেই বলতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই ব্যবসাটিকে ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা বলা যেতে পারে।

কেননা আজকাল জমি কেনা বেচার ব্যবসাতে প্রতারিত সম্ভাবনা খুবই কম। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিক মালিকের কাছে থেকে জমি কিনতে হবে। শুধুমাত্র তুমি কিনলেই হবেনা বরং এখানে জমির অবস্থান দেখে জমির দলিল সঠিক কিনা সেসব বিষয় মাথায় রেখে আপনাকে জমি কিনতে হবে। তারপর সেই জমি একটি নির্দিষ্ট বছরের জন্য হিসাব করে কাউকে বর্গা দিয়ে দিন।

সেখানে তিনি সেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফসল ফলাবেন এবং সে নির্দিষ্ট সময় বিক্রি করলে ভালো পরিমাণ আপনি লাভও পাবেন। জমি কেনার পর আপনাকে কোন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। এই ব্যবসা করার একটাই উদ্দেশ্য সেটা হচ্ছে জমির দাম বাড়া। কেন না জমি এখন সোনাই পরিণত হয়েছে এবং সোনার দাম যেমন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি জমির দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

জুতার ব্যবসা করা

আজকাল মানুষ জামা কাপড়ের পাশাপাশি জুতা কেনার ক্ষেত্রেও অনেক বেশি সতর্ক থাকে। সবাই এখন নিজেদের পোশাকের সাথে মানানসই জুতা কিনতে পছন্দ করে। বাজার দেখলে বোঝা যায় বাজার থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার টু তা বিক্রি হচ্ছে। আপনার যদি জুতার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি জুতার মান বুঝে জুতার ব্যবসাটি করতে পারেন।

তবে আরেকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে যুগের চাহিদা অনুযায়ী আপনার জুতার কালেকশন রাখতে হবে।আপনি অনলাইনে একটি জুতার দোকান করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় অনলাইনে লোকেরা আপনার জুতা পছন্দ করবে এবং সেই জুতা সম্পর্কে ডিটেলস আপনি দিয়ে রাখবেন সেখান থেকে তারা অনুসন্ধান করতে পারবে।

এছাড়াও আপনি বাজারে একটি ছোট দোকান ঘর নিয়ে সেখানে জুতার ব্যবসা চালু করে দিতে পারেন। আপনি যদি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিসে থাকেন তাহলে সন্ধ্যার পর থেকে দোকানে বসতে পারবেন। দেখবেন গ্রাহকরা অবশ্যই আপনার কাছে আসবে। এছাড়া অনেক গ্রাহক আপনার অনলাইনে জুতার পেজ থেকে পছন্দ করে জুতা নিতে চাইবে।

এভাবে আপনি জুতার ব্যবসা করতে পারেন। বাজারে দোকান নিয়েও করতে পারেন আবার অনলাইনেও করতে পারেন। যদি আপনি বাজারে একটি জুতার দোকান দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার দোকান প্রচার-প্রচারণার জন্য কিছু ব্লগার এবং ইউটিউবারদের নিয়ে আসুন। এতে করে আপনার দোকানের ভিডিও তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে এবং এতে করে আপনার গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে।

ড্রাই ফ্রুট এর ব্যবসা

আজকাল আমরা যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকি তখন ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন অবশ্যই সামনে আসে সেটা হচ্ছে হানি নাটের বিজ্ঞাপন। এই হানি নাট এবং এর সাথে কিছু বাদাম ও মধু সংমিশ্রণে আপনি একটি ড্রাই ফুডসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বাদামগুলো এবং শুকনো ফল গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।

আর আজকাল মানুষজন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গেছে। যার কারণে এগুলো অনেকেই কিনে থাকে। মধু, কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, সাদা তিল, কিসমিস, খেজুর এবং মধু নিয়ে আপনি একটি ড্রাই ফ্রুটের দোকান করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক উপাদান নিয়ে আপনি অনলাইনে বিভিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারেন।

এটি বিক্রি করার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না আপনি ঘরে বসেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার পণ্যের সুন্দর সুন্দর ছবির ভিডিও তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। চাকরির পাশাপাশি আপনি এভাবে ঘরে বসে কিছু ব্যবসার শুরু করতে পারেন।

রিসাইকেলিং ব্যবসা

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস ধ্বংস করে ফেলি কিংবা ফেলে দেয় বা নষ্ট করি। আমরা যখন কোন জিনিস ফেলে দেই সেটা হকার এসে নিয়ে যায় আবার অনেকে আছে যারা আমাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিয়ে যায়। এটাও কিন্তু অনেক লাভজনক ব্যবসা।একটু বুঝার চেষ্টা করলে আপনি দেখতে পাবেন ধরুন আপনার বাড়িতে কিছু প্লাস্টিকের বোতল কিংবা ছোট লোহার বাসন আছে এবং সেগুলো ভেঙে গেছে।

আপনি নিশ্চয় সেটা বাসায় রাখতে চাইবেন না। হয়তো বা কোথাও ফেলে দিবেন বা একজন ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করবেন। এই ভাঙ্গারি গুলো বিক্রি করে আপনি ভাবতে পারেন যে আপনার বাড়ি থেকে অনেক ঝামেলা চলে গেছে। মাঝখান থেকে ওই পণ্য কিনে ফেরিওয়ালা পাইকারি দোকানে গিয়ে কিছু টাকায় বিক্রি করবে।

আবার পাইকারি ক্রেতারায় সেই কারখানায় পন্য পাঠায় এবং সেখানে আবার প্রক্রিয়া চলতে থাকে অর্থাৎ ভাঙ্গা বোতল থেকে নতুন বোতল তৈরি করা কিংবা পুরনো কোন জিনিস থেকে নতুন জিনিস তৈরি করার কাজে। হয়তো সে ৫০ টাকার মাল কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করবে। অর্থাৎ সে বসে বসে আরো ৫০ টাকা লাভবান হয়ে যাচ্ছে।

এভাবে সারাদিন কে দিকে জিনিস এবং প্লাস্টিক সামগ্রী পাইকারি দোকানে কিনে পরিষ্কার করে কারখানায় বিক্রি করে সেখানে অনেক টাকার ব্যবসা করা হচ্ছে। এটা কিন্তু অনেক লাভজনক ব্যবসা। আপনি চাইলে আপনার শ্রমিকদের সমস্ত কাজ বুঝিয়ে দিয়ে একজন ম্যানেজার হয়ে থেকে সারাদিন পরে সন্ধ্যায় এসে হিসাব নিকাশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে।

সিজনাল ব্যবসা

একজন লোক চাকরির পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা করতে পারে এটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে। একজন লোক চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে সিজনাল ব্যবসা করতে পারে। এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এই ব্যবসায়ী সব সময় কোন পণ্য রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যেমন ধরুন এখন আমের মৌসুম।

আপনি যে কোন এলাকার আম চাষিদের সাথে যোগাযোগ করে একটি চূড়ান্ত চুক্তি তৈরি করতে পারেন।সেখান থেকে কিনে এনে ঢাকার বা বিভিন্ন জেলার ফল বাজারে বিক্রি করলে আপনি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। আবার আপনি যদি মনে করেন আপনার এলাকার মৌসুমী পণ্য সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এলাকার পণ্যগুলো পেতে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

এবং গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পাঠিয়ে আপনি অনেক ব্যবসা করতে পারবেন। মৌসুমী বিভিন্ন ফলের ব্যবসা করতে পারেন কিংবা রংপুর বা দিনাজপুরে প্রচুর শুকনা মরিচ উৎপন্ন হয় সেখান থেকে আপনি শুকনা মরিচের ব্যবসা করতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন মৌসুমে ভোগ্য পণ্যের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আয়ের মাধ্যম হিসেবে চলছে।

ট্যুর গাইড ব্যবসা

ঘুরতে পছন্দ করে না এই ধরনের মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। আমরা সবাই ঘুরতে ভালোবাসি আর এটাই যদি আপনি ব্যবসার হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে প্রচুর টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন। কেননা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ঘুরতে অনেক বেশি পছন্দ করে কিন্তু এ একজন টুর গাইড খুঁজে।

একজন পুরো গাইড অবশ্যই ফ্লাইট, ট্রেনের টিকিট বুকিং কিংবা হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সমস্ত টুরের প্ল্যান করে থাকেন।কোন অফিস, স্কুল কিংবা কলেজের ট্যুর করাতে পারলে নিয়মিত ব্যবসা করা সম্ভব। বর্তমানে এটি সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। ট্যুর গাইড ব্যবসার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ থাকতে।

এই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার নিয়মিত ছবির ভিডিও আপলোড করতে হবে। এতে করে মানুষজন অনেক ইন্টারেস্ট নিয়ে আপনার টিমে যুক্ত হতে চাইবে। এরপর আপনার সাথে যোগাযোগ করে ট্যুরে যাবে।

ছাত্রজীবনে টাকা উপার্জন করার উপায়

প্রিয় বন্ধুরা ছাত্রজীবনের টাকা উপার্জন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব আপনাদের সাথে। ছাত্র জীবনের ঢাকা উপার্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন করার উপায় গুলো সম্পর্কে নিজেই বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

তার মধ্যে আপনার যদি কোন পদ্ধতি কাজে লেগে থাকে বা পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে সেটি আপনি আজকে থেকে শুরু করে দিতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিয়ে ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

টিউশনি করা

ছাত্র অবস্থায় যেটা আদর্শ এবং প্রথম অবস্থায় ইনকাম করার সবচেয়ে পারফেক্ট উপায় সেটা হচ্ছে টিউশনি করানো। টিউশনি করার মাধ্যমে আপনি টাকা যেমন ইনকাম করতে পারবেন ঠিক তেমনি কাউকে পড়ানোর ফলে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। এ কারণে টিউশনিকে ছাত্র অবস্থায় আদর্শ ইনকাম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

কোচিং করানো

যদি আপনি কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ একটি কাজ। যদি আপনি ভালোভাবে কথা বলতে পারেন এটিও হতে পারে আপনার জন্য উপার্জনের একটি মাধ্যম। কেননা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে কল করার জন্য বা কথা বলার জন্য বিভিন্ন ধরনের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এজন্য আপনি কোচিং এ বিভিন্নভাবে সময় দিয়ে ছাত্র অবস্থায় মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ব্লগিং করা

আজকাল প্রত্যেক ছাত্রদের হাতে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ দেখা যায়। স্মার্টফোনের এই দুনিয়ায় ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার খুব সহজ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলেও ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করা। ব্লগিং করার জন্য আপনার একটি ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন থাকাই যথেষ্ট।

একটি ওয়েবসাইট খুলে নিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট লিখে সেখান থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এতে করে যেমন আপনার পড়াশোনার খরচ চলবে ঠিক তেমনি পাশাপাশি আপনার হাত খরচের টাকাও আসবে।

শোরুমের সেলসম্যান

বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের শোরুম গুলোতে পার্ট টাইম সেলসম্যানের চাকরি করতে পারেন। সকালে আপনার সমস্ত কাজকর্ম ছেড়ে বা স্কুল কলেজের পড়াশোনা শেষ করে আপনি বিকাল থেকে সন্ধ্যা আর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন শোরুমের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে আপনার পড়াশোনার খরচ যাতে পারেন। এতে করে আপনার ছাত্র অবস্থায় ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

স্কিলফুল জব

স্কিল ফুল জব হলো যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইনে বা অফলাইনে ভালো বেতনে পার্ট টাইমে একটি চাকরি করা। যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে আপনাকে এই কাজটার ওপর অন্তত এক বছর বা তারও বেশি সময় দিতে হবে। সেই কাজে একজন প্রফেশনাল হতে হবে। তারপর আপনি সেই বিষয়ে একটি চাকরি করতে সক্ষম হবেন।

বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা স্কিল ডেভেলপমেন্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি সহ আরো বহু স্কিল রয়েছে যেখানে আপনি দক্ষতা অর্জন করে মোটামুটি ভালো টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

সেলফ ইনফ্লোয়েড

সেলফ ইনফ্লোয়েড হলো নিজের কর্মসংস্থান নিজেই তৈরি করা। এর মাধ্যমে সাধারণত ব্যক্তিরা নিয়োগ কর্তার দ্বারা কাজ প্রদান করার পরিবর্তে নিজে নিজে নিজের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। বর্তমানে ফেসবুক ও ইন্টারনেটে আধুনিক তরুণ তরুণীরা নিজের কর্মসংস্থান নিজেই তৈরি করে নিচ্ছে বিভিন্নভাবে। আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন ক্লাস ভিডিও বা রেকর্ড করে সেগুলো কোর্স হিসেবে বিক্রি করে ছাত্র অবস্থায় টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ছোটখাটো ব্যবসা

যদি আপনি চাকরি করার সুযোগ না পান বা আপনার ওই ধরনের কোন মন মানসিকতা না থাকে তাহলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন ছোটখাটো ধরনের ব্যবসা। আপনি প্রথমে হাতে কিছু টাকা নিয়ে ছোটখাটো এক ধরনের ব্যবসার শুরু করুন তারপর সেখান থেকে টাকা জমিয়ে আপনি বড় কোন ব্যবসা শুরু করুন।

এটাতে দুটোই লাভ একটি হচ্ছে ব্যবসা বড় হবে এবং ততদিনে আপনি ব্যবসার সবকিছু শিখতে পারবেন।ছোটখাটো ব্যবসার উদাহরণ যেমন ভাজা বাদাম বিক্রি, চায়ের দোকান, ঝাল মুড়ি বিক্রি, সবজির দোকান ইত্যাদি। তবে ছোটখাটো ব্যবসা করতে যদি আপনার সম্মানে আঘাত লাগে তাহলে আপনাকে দিয়ে আর এ জীবনে কিছু হবে না।

জীবনে বড় কিছু হতে গেলে প্রথমে ছোট থেকেই শুরু করতে হয়। আমি ছাত্র অবস্থায় অনেক ছাত্রকে দেখেছি যে তারা রাস্তার আশেপাশে ঝাল মুড়ি বা ফুচকা বিক্রি করার ছোটখাটো একটি ব্যবসা করছে এবং সেখান থেকে তারা ভালো টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

ফেসবুক পেজ

আজকাল খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হল ফেসবুক। যোগাযোগই থেকে শুরু করে আরো বয়স্ক পর্যন্ত সবাই কমবেশি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। কাল ফেসবুক হয়ে উঠেছে একটি ব্যবসা মাধ্যম বা টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ব্লক করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের এড দেখানোর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করা

ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ একটি পদ্ধতি হয়ে গেছে। ২০২৪ সালে এসে আজকে ঘরে ঘরে ফ্রিল্যান্সার হয়েছে কম বেশি। তবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে অনেক সময় নিয়ে। তারপর মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের কাজ সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ছাত্র জীবনে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফটোগ্রাফি করা

আজকাল ডিজিটাল যুগে অনেক ছেলেমেয়েদের স্বপ্ন থাকে বা শখ থাকে ফটোগ্রাফি করার। এবং এটি একটি ভালো আইডিয়া টাকা উপার্জন করার জন্য। কেননা বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রোগ্রামে ভাবীর প্রোগ্রামে আমরা বাইরে থেকে ফটোগ্রাফার নিয়ে এসে থাকি। এবং তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকি। এজন্য আপনার টাকা উপার্জন করতে হলে এবং সব পূরণ করতে হলে আজকে থেকে ফটোগ্রাফি শুরু করে দিন।

রাইড শেয়ারিং

আজকাল ছেলেদের অনেকেরই নিজস্ব বাইক দেখা যায়। তারা চাইলেই বাইকটা ইনকামের আরেকটি মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। আপনার পার্ট টাইম সময়ে রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এছাড়াও আপনি একটি মাধ্যম বা রাইট শেয়ারিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি রাইড শেয়ারিং ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করে ইনকাম করতে পারেন।

ডেলিভারি ম্যান

বিভিন্ন কোম্পানির বা ফুড পান্ডা অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করে আপনি উপার্জন করতে পারেন মোটামুটি টাকা। ফুড পান্ডা এবং এই ধরনের অনেক অনলাইন ভিত্তিক ফুড ডেলিভারির কোম্পানির রয়েছে আপনি চাইলে সেগুলোতে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন। আবার অনেক সময় পার্ট টাইম হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি দিতে পারেন।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনার

আপনি যদি একজন সৌখিন এবং ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের হয়ে থাকেন তাহলে এই বিজনেসটা আপনার জন্য। আজকাল অফিস এবং বাসা বাড়িতে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনার কে ভাড়া করে থাকি।

আপনার যদি ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পর্কে ভালো আইডিয়া থাকে বা এই ধরনের কাজগুলো আপনি ভালোভাবে করতে পারেন তা এখান থেকে আপনি ছাত্র জীবনে বিভিন্ন ভাবে টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এমনকি আস্তে আস্তে এটি আপনি ব্যবসার রূপে পরিণত করতে পারেন।

স্বল্প পুঁজির ব্যবসা

ব্যবসা করার জন্য যে সবসময় মোটা অংকের টাকা দরকার বিষয়টি কিন্তু মোটেও এরকম নয়। আপনি চাইলে খুবই সামান্য টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। স্বল্প পুঁজির ব্যবসার বিভিন্ন আইডিয়া রয়েছে। যেমনঃ টি-শার্ট ডিজাইন, চাবির রিং বানানো, বিভিন্ন ব্যাচ বানানো ইত্যাদি। আপনি চাইলেও এগুলো আপনার স্কুল-কলেজের বা নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এটি বিক্রি করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আরেকটি উপকার হবে আপনি যদি ওই ব্যবসা নিয়ে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। এবং আপনি চাইলে সেই ফেসবুক পেজ থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার একটি কম্পিউটার এবং প্রিন্টার নিয়ে বসে যেতে পারেন ফটোকপি বা বিভিন্ন প্রিন্টিং জাতীয় কাজ করার ব্যবস্থা নিয়ে। এক্ষেত্রে আপনি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রিন্টের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।

লেখালেখি করে ইনকাম করা

আপনার মধ্যে যদি ভালো লেখালেখি দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি লেখালেখি করেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ফিচার লেখা, ফেসবুক পেজের পোস্ট লেখা,, যারা নিয়মিত ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে তাদের জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা, গল্প লেখে ফেসবুকে পাবলিশ করা।

বা ওয়েব সাইটে পাবলিশ করা ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনার যদি একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করার দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রকাশনীর বই বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে হয়ে যেতে পারবেন একজন লেখক।

রেস্টুরেন্টের চাকরী

বর্তমান সময় শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের পার্ট টাইম চাকরি হিসেবে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যা গত কয়েক বছর আগেও তেমন একটা দেখা যেতনা। একজন শিক্ষার্থী চাইলে পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে ছাত্র অবস্থাতেই।

কল সেন্টার

কল সেন্টার জব এখন উপার্জনের অন্যতম একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে উঠেছে। ভয়েস কলের মাধ্যমিক গ্রাহকদের কাঙ্খিত গ্রাহক সেবা দেওয়ায় এই চাকরির মূল কাজ। শিক্ষার্থীরা নীতি অনুযায়ী সুবিধামতো রাতদিন এভাবে শিফট অনুযায়ী কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারে খুব সহজেই।
চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায়

চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে ব্যবসা

বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশের একটা ব্যবসা শুরু করা মোটামুটি একটি কঠিন কাজ হলেও কিছু সঠিক ধারণা এবং সঠিক পদ্ধতি সাথে স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করলে আপনার জীবনের সবচেয়ে ফলপ্রসু অভিজ্ঞতা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ব্যবসা রয়েছে যা আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

অফলাইনে ব্যবসাতে যেমন টাকা ইনভেস্ট করতে হয় , ডিজিটাল যুগে চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে স্মার্ট ব্যবসা করতে তেমন টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না।বর্তমানে অনেকেই স্বাধীনভাবে বাবসা করা পছন্দ করেন। চাকরির পাশাপাশি নিজস্ব একটা ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখেন। আবার অনেকে নিজের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে ঘরের বাইরে গিয়েও কাজ করতে পারেন না।

কিন্তু কমবেশি প্রায় সকলের মনের প্রশ্ন, ব্যবসার শুরু কিভাবে করব,কি নিয়ে ব্যবসা করব, ব্যবসা কি সফল হবে? ইত্যাদি।ই কমার্সে বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর দুনিয়ায় আজকাল অনেক সফলতার সাথে বাবসা করা যায়।বিশ্বের ক্রমবিকাশ এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি সাথে সাথে উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ঘরে বসে স্মার্ট ব্যবসা করার অনেক উপায় আছে।

যদিও বর্তমানে ব্যবসা শুরু করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে এটি আর্থিকভাবে খুব ভালো ফলপ্রসূ হতে পারে। সঠিক আইডিয়া এবং সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোন উদ্যোক্তা তার স্বপ্নকে খুব সহজে বাস্তবায়ন করতে পারে।আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে স্মার্ট বাবসার আইডিয়া নিয়ে আপনাদের ধারনা দিবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

অনলাইন ব্লগ

অনলাইনে যতগুলো মাধ্যম থেকে টাকা ইনকাম করা যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে এই অনলাইন ব্লগ। অনলাইন ব্লগের জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এবং বেশ সময় সাপেক্ষভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর আনতে হবে এবং নিয়মিত পোস্ট লিখতে হবে। ব্লগে বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে টাকা আয়

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে টাকা আয় করা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপনি সেটা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজের কোর্সটি সরাসরি বিক্রি করতে পারেন।

মোবাইলে অ্যাপস বানিয়ে টাকা ইনকাম করা

বর্তমান এই যুগে আমাদের মোবাইলে অ্যাপের যে গুরুত্ব সেটা বলে আসলে শেষ করার মত না। আমাদের প্রত্যেকের ফোনে কমবেশি প্রায় ১৮ থেকে ২০ টি অ্যাপস থেকে থাকে। তাই মোবাইল অ্যাপস হতে পারে আপনার আয়ের একটি উৎস।

আর্টিকেল লিখে আয় করুন

আর্টিকেল রাইটার এমন একটি ব্যক্তি যে অন্যের জন্য আর্টিকেল লিখে নিজে আয় করে থাকেন। তবে একজন আর্টিকেল রাইটারের এসিও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ঘরে বসে আপনি একটা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারেন।

অনলাইনে ইংরেজি শিখিয়ে ইনকাম করুন

আপনি যদি ইংরেজিতে অনেক বেশি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে অনলাইনে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে বা ফেসবুক পেজ খুলে শুরু করে দিতে পারেন আপনার ব্যবসা। ক্লাস করিয়ে বা বিভিন্ন রকম কোর্স করিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধু ইংরেজিতে না অন্যান্য যেকোনো বিষয়ে আপনি দক্ষ হয়ে থাকলে সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম কিভাবে চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে কি ধরনের ব্যবসা দাড় করানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছারাও আরও জানলাম চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে ব্যবসা এবং ছাত্রজীবনের টাকা উপার্জন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url