৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া বিস্তারিত জানুন
৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? বর্তমান দুনিয়ায় অর্থনৈতিক বাস্তবতার সাথে অনেকেই ছোট মূল ধরে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা চারটির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে স্বাধীনতার সাথে কিছু করতে চাই তাদের জন্য ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আজকে আমার এই আর্টিকেল।
বর্তমানে অনেকেই google এ সার্চ করে থাকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে। এজন্য প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।
৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া বিস্তারিত জানুন
৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত করতে থাকুন। ৫০০০০ টাকা হতে পারে খুবই মোটা অংকের টাকা নয় কিন্তু এটাকে যদি আপনি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতা তাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে এখান থেকে আপনি অনেক লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
সুপ্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে। এখান থেকে যে ব্যবসা আইডিয়াটি আপনার পছন্দ হবে আজ থেকেই সে ব্যবসা শুরু করে দিন। তবে মনে রাখবেন যদি আপনি সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাহসী এবং সৃজনশীল হতে হবে।
আপনার দক্ষতা দেখিয়ে প্রতি ধাপে কাজ করে যেতে হবে। না হলে আপনি কখনোই সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না। ধরুন আপনার কাছে 50 হাজার টাকা আছে। কিন্তু আপনি এই টাকাগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন বা কোন কাজে লাগাবেন সেটা সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা নেই। তাহলে আপনি আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেই ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
অনলাইনে দোকান দেওয়া
পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে ২৫টি ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে অনলাইনে দোকান দেওয়া একটি ব্যবসা হিসেবে ধরে নিতে পারেন। আপনি যদি কোন ফ্যাশন হেল্প কিংবা বিউটি প্রোডাক্ট অথবা হোম ডেকোরেটর বিভিন্ন আইটেমে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে আপনি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
অর্থাৎ অনলাইনে আপনি একটি দোকান দিতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনার বিক্রি হবে ফলে আপনি ঘরে বসে একটি ব্যবসা করতে পারবেন। যেমন ধরুন ফেসবুক মার্কেটপ্লেস কিংবা instagram এ আপনি এই ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। ছোটখাটো বিনিয়োগে খুব দ্রুত সাফল্য পেতে আপনি অনলাইনে দোকান দিতে পারেন।
ফুড ডেলিভারি ব্যবসা
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা অনলাইন থেকে অর্ডার করে ঘরে বসে খেতে চাই। তারা সচরাচর অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পরে ডেলিভারি ম্যান গিয়ে সেখানে খাবার দিয়ে আসে। আপনার কাছে যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকে তাহলে সে টাকা দিয়ে আপনি একটি ছোটখাটো ফুড ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনার ব্যবসা শুরুর জন্য প্রাথমিক কিছু পুঁজি লাগবে সেটা অবশ্যই ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। যেমন ধরুন আপনার একটি মোবাইল ফোন লাগবে এবং একটি মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেল দরকার পড়বে। এগুলো আপনি 50000 টাকার মধ্যে কভার করার চেষ্টা করবেন। তাহলেই আপনি ৫০০০০ টাকার মধ্যে ফুড ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন খুব সহজে।
বিউটি সেলুন দিতে পারেন
বর্তমানে মেয়েদের খুবই শখের একটি পেশা হচ্ছে বিউটি সেলুন। অনেকে আছে যারা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে পার্লারের কাজ শিখে থাকে। বর্তমানে বিউটি সেলুন খোলা যেন খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি আপনার পরিচিত কেউ এই কাজে দক্ষ হয় তাহলে তাকে নিয়ে আপনি একটি বিউটি সেলুনের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
আপনার পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে ছোট একটি সেলুন খোলার চিন্তাভাবনা করতে পারেন। সেলুনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আসলে ছোট থেকে শুরু করতে হবে। বিউটি সেলুন খোলার পরে আপনি বিউটি সেলুনের নাম দিয়ে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। এখান থেকেও আপনার অনেক কাস্টমার আসবে। এভাবেই আপনি 50000 টাকার মধ্যে ঘরে বসে খুব সহজে বিউটি সেলুন দিয়ে দিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করা
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তরুণ তরুণীদের মাঝে।ফ্রিল্যান্সার শব্দটি সর্বপ্রথম ১৮১৯ সালে ওয়াল্টার স্কট নামক একজন লেখকের বইয়ে ছাপানো হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিভিন্ন কথা। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন কল্পনা জল্পনা। বিভিন্ন জন একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন।
ফ্রি শব্দের অর্থ হচ্ছে মুক্ত এবং লেন্সিং শব্দের অর্থ হচ্ছে যন্ত্রপাতি যেগুলো দ্বারা কাজ সম্পন্ন করা হয়।অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং শব্দের পুরো অর্থ দাঁড়াচ্ছে এরকম যে, কোন কাজ মুক্ত স্বাধীনভাবে করা।ফ্রিল্যান্সিং মূলত এক ধরনের পেশা যেখানে আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করে আমাদের প্রয়োজনমতো অর্থ উপার্জন করে থাকি। এটা হতে পারে দেশের ভেতরে এবং হতে পারে দেশের বাইরে।
অর্থাৎ আমরা দেশের বাইরে কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারি।এটা একটা সাধারণ চাকরির মতোই কিন্তু সেটা আপনার ইচ্ছা মতো আপনি করতে পারবেন। অনেক সময় আপনার কাজ করতে ইচ্ছা নাও করতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি কাজ বন্ধ রাখতে পারেন।আপনার পুঁজি যদি হয় ৫০০০০ টাকা তাহলে এই ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি একটি কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং থেকে আপনি একসময় মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্স
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে সাধারণত বোঝায় ডিজিটালভাবে বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিং করা। আজকাল ফেসবুকের দুনিয়ায় ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জগতে আপনার একটু অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার কাঠের পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।
এখনকার দিনে বেশিরভাগ ব্যবসা অনলাইনে বাড়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে থাকে কমবেশি সকলেই। এক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং কিংবা এসিও করা অথবা বিভিন্ন কনটেন্ট কৌশল যদি জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই এর মাধ্যমে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
টিউশন ক্লাস করানো
আপনার কাছে যদি ৫০০০০ টাকা পুঁজি থাকে তাহলে এর মধ্যে দিয়েই আপনি টিউশন ক্লাস করিয়ে একটি নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দিতে পারবেন। হয়তো আপনি ভাবছেন যে কিভাবে সম্ভব! হ্যাঁ প্রিয় বন্ধুরা আপনার কাছে যদি কিছু টাকা থাকে এর মাধ্যমে আপনি একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে দিতে পারবেন।
টিউশন ছাড়াও যদি আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে স্থানীয় বাজারে আপনি ছাত্রদের ছাত্রীদের নিয়ে একটি পড়াশোনার প্ল্যাটফর্ম শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিতে পারেন যেখানে আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করাতে পারবেন। এভাবেই আপনার কাছে থাকা কিছু টাকা দিয়ে আপনি ক্লাস করিয়ে একটা ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দিতে পারবেন।
ব্লগিং করে
আজকাল ব্লগিং করে আপনি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।চাইলে নিজের অভিজ্ঞতা এবং আপনার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সহজে আপনি কন্টেন্ট লিখে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার অভিজ্ঞতা এবং নিজের জ্ঞানকে পুরো বিশ্বের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
প্রতিদিন আপনার কাজের পাশাপাশি তিন থেকে চার ঘন্টা সময় দিলে আপনি ব্লগিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনার মনে হতে পারে যে ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন! ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলে ফেলতে হবে। ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলতে আপনাকে অবশ্যই ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে।
এখানে ডোমেইন হোস্টিং কেনার জন্য আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে। এরপরে ডোমেন হোস্টিং কিনে আপনি শুরু করে দিতে পারেন আপনার ব্লগে কাজ। এরপর আপনি ব্লগের জন্য একটি নিস কিংবা বিষয় নির্ধারণ করুন। তারপর আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে ভালো লিখতে পারবেন সেগুলো নিয়ে লেখালেখি শুরু করে দিন।
ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করুন এরপর পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিজিটাল আসলে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি অ্যাড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন ইভেন্ট প্ল্যানিং
আপনার কাছে যদি থাকে ৫০০০০ টাকা তাহলে আপনি ইভেন্ট প্ল্যানিং করে একটি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা জন্মদিন অথবা বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য আমরা সুন্দরভাবে ঘর সাজিয়ে থাকি বা বাড়ি সাজিয়ে থাকি। এই বাড়ি কিংবা ঘর সাজানোর জন্য অবশ্যই আমরা ইভেন্টের লোকদের সাথে কথা বলে থাকি।
আর আপনি যদি ইভেন্ট প্ল্যানিং নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে আপনি এদিকে বড় একটি ব্যবসার রূপ দিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে অল্প কিছু সরঞ্জাম নিয়ে ঠিকভাবে লোকেশন নির্বাচন করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে পরবর্তীতে এটি আরো বড় ব্যবসায় দাড় করাতে পারবেন।
অনলাইন বেকারি
আমরা জন্মদিন কিংবা অ্যানিভার্সারিতে অথবা বন্ধুর বার্থডেতে বিভিন্ন ধরনের কেক কিনে থাকি। এছাড়াও আজকাল যে কোন প্রোগ্রামে কেকের বেশ কদর রয়েছে। আপনি যদি বিভিন্ন রকম কেক বানাতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার জন্য এই ব্যবসা করা খুবই সহজ। আজকাল কেক বানিয়ে সেটা ক্রেতাদের ঘরে পৌঁছে দেয় অনেকে।
আপনি যদি কেক বানাতে পছন্দ করেন কিংবা বিভিন্ন রেসিপি বানাতে ভালোবাসেন তাহলে আজ থেকে অনলাইন বেকারির দোকান দিয়ে দিন। সেখান থেকে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে এটি একটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রূপে দাঁড় করাতে পারবেন।
ফলের জুসের ব্যবসা
প্রচণ্ড গরমে যখন জনমানব অতিষ্ঠ হয়ে যায় তখন একটু ঠান্ডা পানি কিংবা ফলের জুস আমাদের স্বস্তি দিয়ে থাকে। আর আপনি যদি এই ধরনের কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে এখান থেকে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার কাছে যদি 50000 টাকা থেকে থাকে এবং যদি এটা আপনি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে 50000 টাকা থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বাজারের আশেপাশে বিভিন্ন অফিস কিংবা স্কুল কলেজের সামনে একটি জুসের দোকান দিয়ে দিন। সেখান থেকে আপনার প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা শুরু হবে।
ট্রাভেল এজেন্সি
আপনি যদি অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি বাসের টিকিট বুকিং এর কথা ভাবতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে মোটামুটি ১০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। স্বল্প মূলধনে যদি আপনি ব্যবসা করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ একটি উপায় হবে। স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে হোস্ট এজেন্সির ওপর কিন্তু দশ হাজার টাকার মধ্যে বাজেট রাখা উচিত।এভাবে আপনি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
ট্যুর গাইড
বাঙালিরা সবসময় ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করে।কিন্তু ঘোরাফেরার জন্য অনেক সময় তারা বিভিন্ন ট্যুর গাইডের ওপর নির্ভর করে থাকেন। ফ্লাইট কিংবা ট্রেনের টিকিট বুকিং অথবা হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ করে প্ল্যান করা পুরোটাই দায়িত্ব নিতে হবে আপনার। এক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকা পুঁজি দিয়ে একটি অফিস খুলে ফেলুন।
সেখানে বিভিন্ন স্কুল বা কলেজে স্কুল করাতে পারলে অথবা বিভিন্ন অফিসের ট্যুর করাতে পারলে এখান থেকে আপনি নিয়মিত ব্যবস্থা করতে পারবেন।নিশ্চয়ই এটি কম খরচে লাভজনক একটি ব্যবসা।আপনাকে শুধুমাত্র অফিস নিয়ে বসে থাকলেই হবে না বরং আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যেখান থেকে লোকজন আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
এবং সেই ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট কমিশনের রেট জেনে নিতে পারবেন। বর্তমানে ট্যুর গাইড খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাচ গান কিংবা আঁকার স্কুল
আপনার মধ্যে যদি নাচ গান কিংবা বিভিন্ন ছবি আঁকার দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে সেই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে অল্প কিছু বিনিয়োগ করে আপনি ব্যবসা দাঁড় করে দিতে পারেন।এছাড়াও আপনি নিজের বাড়িতে এরকম একটি স্কুল খুলতে পারেন কিংবা কোন রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের শেখাতে পারেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে তাদের নাচ গান কিংবা ছবি আঁকা শেখাতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ধৈর্যশীল এবং দায়িত্ববান হতে হবে।এই ধরনের ব্যবসায় প্রচার সাধারণত লোকমুখে হয়ে থাকে। আর আপনি যদি ছাত্রছাত্রীদের খুশি করতে পারেন তাহলে আরো অন্যান্য ছাত্রছাত্রী আপনার স্কুলে ভর্তি হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল আপনার সৃজনশীল তাকে কাজে লাগিয়ে রং রেখার মাধ্যমে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করা। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখিয়ে এর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসে আপনি খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে বিভিন্ন কাজ রয়েছে। যেমনঃ
- লোগো ডিজাইন।
- বিভিন্ন ব্যানারের ডিজাইন।
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন।
- বিভিন্ন প্যাকেজিং ডিজাইন কিংবা
- টিশার্ট ডিজাইন।
- বুক কভার ডিজাইন।
আপনি যদি এসব কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তবে সহজেই অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইবারে কাজ পেতে পারেন। আপনার কাছে থাকা সামান্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি কোর্স করে নিতে পারেন। তারপর আপনি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
চায়ের দোকান কিংবা ফুডকার্ড
আপনার কাছে থাকায় সামান্য কিছু টাকা দিয়ে আপনি চায়ের দোকান নিতে পারেন। বাজারে সুন্দর একটি জায়গায় একটি চায়ের দোকান দিয়ে ফেলুন অথবা একটি স্টল বসানোর জায়গা কিনে ফেলুন।মোটামুটি দশ হাজার টাকার মধ্যে দোকানটি হয়ে যাবে। এরপর চায়ের দোকানটি ভালোভাবে সাজিয়ে ফেলুন। এভাবে দেখবেন আপনার মাঝে হাজার হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে।
এছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন ফাস্টফুড তৈরি করতে পারে তাহলে চায়ের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফাস্টফুড বিক্রি করবেন।এর মাধ্যমে আপনি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে।
শখের জিনিস বিক্রি
আপনার মধ্যে যদি নতুন কোন জিনিস সৃষ্টি করার সৃজনশীলতা থাকে যেমন ধরুন কোন হস্তশিল্প কিংবা কাস্টমার করা বিভিন্ন জিনিস। তাহলে আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে একটি দোকান নিয়ে নিতে পারেন।যদি ভালো জামা কাপড় বানাতে পারেন কিংবা বুটিক ডিজাইন করতে পারেন অর্থাৎ জামা কাপড়ের সুন্দর সুতা দিয়ে সেলাই করে ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি আজ থেকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন অথবা বাজারে একটি দোকান নিয়ে নিতে পারেন।
ফটোগ্রাফি করা
৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে ফটোগ্রাফি অন্যতম।আজকাল ডিজিটাল যুগে অনেক ছেলেমেয়েদের স্বপ্ন থাকে বা শখ থাকে ফটোগ্রাফি করার। এবং এটি একটি ভালো আইডিয়া টাকা উপার্জন করার জন্য। কেননা বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রোগ্রামে আমরা বাইরে থেকে ফটোগ্রাফার নিয়ে এসে থাকি। এবং তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকি। এজন্য আপনার টাকা উপার্জন করতে হলে এবং সব পূরণ করতে হলে আজকে থেকে ফটোগ্রাফি শুরু করে দিন।
রাইড শেয়ারিং
আজকাল ছেলেদের অনেকেরই নিজস্ব বাইক দেখা যায়। তারা চাইলেই বাইকটা ইনকামের আরেকটি মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। আপনার পার্ট টাইম সময়ে রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এছাড়াও আপনি একটি মাধ্যম বা রাইট শেয়ারিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি রাইড শেয়ারিং ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করে ইনকাম করতে পারেন।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।
দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url