আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫

আপনি কি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশী তরুন তরুণীদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই এখানে নিজেদের দক্ষতায় এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে হাজারো তরুন তৈরি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করে স্বনির্ভরশীল হচ্ছে।
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫
পর্যাপ্ত দক্ষতার পাশাপাশি সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব।এছাড়াও আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস অন্যান্য সকল মার্কেটপ্লেসের তুলনায় বেশি ডিমান্ডেবল। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাত্রে ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫ সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বায়ার তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের জব পোস্ট কিংবা বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে কাজের জন্য উপযোগী দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খোঁজে থাকে।

আর সেখান থেকে ফ্রিল্যান্সাররা মাল্টিপ্লেস গুলোতে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের কাজটি খুঁজে নেই। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বায়াররা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে তাদের নির্ধারিত পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে। মূলত এই বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ওয়েবসাইট হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।

বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেমন ঃ ফাইবার, পিপল, আপ ওয়ার্ক, guru ইত্যাদি। আর এইসব মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আপনার অবশ্যই নির্দিষ্ট দক্ষতার পাশাপাশি কৌশল নিয়ে থাকতে হবে। তাহলে আপনি এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। আজ আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস আপ ওয়ার্ক সম্পর্কে জানব।

এবং আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫ সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫ সম্পর্কেঃ

সুন্দরভাবে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য এবং কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আর আপনি যদি এর মধ্যে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে আপনার প্রোফাইলটি ভালোমতো সাজিয়ে তুলতে হবে

 অর্থাৎ আপনার প্রোফাইলে একটি সত্যিকারের আপনার ছবি এবং একাউন্ট সেকশনে গিয়ে আপনার নিজের ভালো বিবরণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যেটা সঠিক সেটাই দিতে হবে কোনরকম ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। আপনার প্রোফাইলটি আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনাল মানের হতে হবে।

সুন্দর Gig Description লিখতে হবে

সুন্দর Gig Description আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এজন্য সুন্দর Gig Description গিয়ে আপনার দেওয়া সেবাগুলা সম্পর্কে ভালোভাবে বর্ণনা করতে হবে। আপনার গিগেটি চমৎকার দুর্দান্ত গণনা যুক্ত করতে হবে এবং এক্সপার্টের মতো আপনার সেবাগুলো ব্যাখ্যা করতে হবে খুব সুন্দর করে।

এক্ষেত্রে যখনই কোন বায়ার আপনার আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য লোক খুঁজবে সর্বপ্রথম সেই বায়ার আপনার গিগটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখবে। সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার লেখা গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আপনার লেখা দিন যদি তার প্রয়োজনের এগুলোর পূরণ করে তবে আপনি অবশ্যই তার কাজের অর্ডার পাবেন।

তাই আপনার গিগ সঠিকভাবে ফরমেট করুন। এজন্য Bold,Underline,List,Highlight এসব অপশনগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন। মূল সার্ভিসের সাথে অতিরিক্ত কোন সেবা আপনি বোনাস হিসেবে রেখে দিতে পারেন। এতে করে আপনার গিগটি বায়ারের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে।

আলাদা কিছু অফার করতে পারেন

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে প্রচুর গিগ রয়েছে। এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গিগ আপলোড হচ্ছে এবং নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার যুক্ত হচ্ছে। যার প্রত্যেকটা প্রায় একই ধরনের সার্ভিস এর ওপর নিয়ে তৈরি করা হয়। তৈরি করতে পারে এবং ফাইবার ঘাটাঘাটি করলে বিজনেস কার্ড তৈরির উপর আপনি হাজারো গিগ খুঁজে পাবেন।

একইভাবে অন্যান্য কিছু যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং আর্টিকেল রাইটিং এর মত গিগ রয়েছে। এজন্য আপনি তুমি খুব দ্রুত করে মানে বাইরে রিকোয়েস্ট পেতে চান তাহলে এমন কিছু অফার করতে হবে যা ফাইবারে অন্য কেউ দিচ্ছে না বা ফাইবারের হয়তো এর সংখ্যাটা অনেক কম। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যতিক্রমধর্মী কোন সেবার দিকে অবশ্যই ঢুকে পড়তে হবে কিংবা মনোযোগ বসিয়ে দিতে হবে।

ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত অনন্য বড় বড় ফ্রিল্যান্সাররা সৃজনশীলতার সাথে এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে আপনারও আলাদা কিছু করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যদি আপনি কম সময় আলাদা কিছু করতে পারেন তাহলে আপনি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে ঢুকে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।

গিগ টাইটেল অপটিমাইজেশন করুন

গিগ টাইটেল সবচেয়ে বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এজন্য এই লেখাতে আপনাকে বিশিষ্ট ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার টাইটেল জানা খুব বেশি বড় না হয়ে যায় সেটিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং একই সাথে অনেক ছোট যাতে না হয়ে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।গিগের টাইটেল যত শর্ট হবে একজন বায়ারের কাছে বোধগম্যতা তত সহজ হবে।

প্রথম কিওয়ার্ড দিকে এসইও এর দৃষ্টিভঙ্গির মনোযোগ দিন। মানুষ কি লিখে সার্চ করে এবং সেটা জানতে চাই এই ধরনের কিওয়ার্ডগুলো রিসার্চ করুন ভালো মত। আপনার টাইটেল এ সর্ব তার জনপ্রিয় কিওয়ার্ডগুলো রাখার চেষ্টা করতে হবে।

পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন এবং আপনি কোন বিষয়ে সার্ভিস দিবেন সেই সম্পর্কে টাইটেল গুলো ফুটে উঠলো কিনা।ধরুন আপনি একটি লোগো ডিজাইন করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনার টাইটেলে লোগো নিয়ে এমন কিছু কথা লিখতে হবে যেটা দেখে আপনার বায়ারের মন আকৃষ্ট হয়।

কিন্তু আপনি যদি সেখানে লোগো নিয়ে কোন কিছু লিখি না রাখেন তাহলে একজন বায়ারের দেখে বুঝার উপায় নাই যে আপনি আসলে কোন ধরনের কাজ করতে পারেন বা কোন ধরনের কাজ করতে চাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই গিগ টাইটেল ভালোভাবে অপটিমাইজেশন করতে হবে।

সুন্দর একটা কভার ফটো দিন

প্রফেশনালি গিগের রুপ দেওয়ার জন্য প্রধান উপকরণ হচ্ছে এখানে একটি মানানসই কভার ফটো ব্যবহার করা। কথার ফটো যদি ভালো না হয় তাহলে আপনার গিগ একাউন্ট দেখতে ভালো লাগবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন ফাইভারে সাধারণত 550/370 পিক্সেল সাইজের কভার ফটো আপলোড করার কথা বলা হয়ে থাকে।

তাই ছবিটি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সাইজের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কথায় আছে প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারি। এজন্য একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন যে একজন বায়ার সর্বপ্রথম আপনার দেওয়ার টিচার ইমেজ এবং টাইটেল দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে সে আপনার কাছে কাজ দিবে কিনা।

এ ক্ষেত্রে আপনার ফিচার ইমেজ বানানোর সময় খুব সতর্কতার সাথে এবং আকর্ষণীয় করে বানাতে হবে। আর এগুলো নিয়ম ভালোভাবে মানলেই আপনি গিগ অ্যাকাউন্ট র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন।

ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন

গিগে ভিডিও ব্যবহার করলে ওই সার্ভিসটি বিক্রয়ের সম্ভাবনা ৬০ পার্সেন্ট বৃদ্ধি পায়। এটা কিন্তু স্বয়ং আপওয়ার্ক বলে দিয়েছে। এজন্য ভিডিও ব্যবহার করার কথা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। চেষ্টা করবেন আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের নিয়ম মেনে ভিডিও তৈরি করতে।কেননা একটা ইমেজের চেয়ে ভিডিওতে আপনি আরো বিস্তারিতভাবে আপনার সার্ভিসগুলো বায়ারকে বর্ণনা করে বুঝাতে পারবেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে থেকে জানা যায় যে সকল গিগের মধ্যে ভিডিও আপলোড করা ছিল তাদের সেল অনেক বেড়ে গেছে। সেসকল সেলার নিজেরাই নিজের কাজের কথা উপস্থাপন করেছেন এবং তাদের সেল কমপক্ষে ৯৬ শতাংশ বেড়ে গেছে। আবার যাদের ভিডিও ইফেক্ট, বিভিন্ন রকম এনিমেশন এমন কি লেখা অথবা ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করেছে তাদের সেল প্রায় ৮৪ শতাংশ বেড়ে গেছে।

সুতরাং আপনারা গিগের মধ্যে ভিডিও আপলোড করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। তবে যেমন ইচ্ছা তেমন ভিডিও আপলোড করলে চলবে না। অবশ্যই আপনাকে স্ট্যান্ডার্ড ভিডিও মেক করতে হবে যাতে বায়াররা এটা দেখে আকৃষ্ট হয়।

আপনার গিগ প্রচার করুন

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু উপায় রয়েছে। তার মধ্যে প্রচার প্রচারণা করা অন্যতম। গিট তৈরি করার কাজ শেষ না এর সর্বোচ্চ প্রসার নিশ্চিত করতে সক্ষম হতে হবে আপনাকে। অর্থাৎ জনপ্রিয় সোসিয়াল মিডিয়ার যেমন facebook, twitter, linkdin, ইত্যাদিতে আপনার গিগের লিংক শেয়ার করুন।

এতে করে প্রচুর মানুষ আপনার কাছে সার্ভিসটি পেতে চাইবে এবং তারাও শেয়ার করবে। এতে করে আপনার কাজ বাড়বে এবং আপনার গিগের ব্লগ সংশ্লিষ্ট পোষ্টের মাধ্যমেও প্রচার করতে পারেন।

অন টাইম ডেলিভারি

সময় আপনাকে কেউ কাজ দিলে সঠিকভাবে সেটা করে দিলে কিংবা সাবমিট করতে পারলে আপনি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে ভালো রেঙ্কে থাকতে পারবেন। কাজের মান নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ফাইবারে এমন একটি রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় যেখানে আপনার কাজ যদি সময় মত ডেলিভারি হয় এবং বায়ার আপনার কাজ পছন্দ করলে সেখানে ফাইভ স্টার রেটিং দিয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আপনার পজিটিভ রিভিউ হয়ে থাকলে অন্যান্য বায়ার এসে যখন দেখবে তখন আপনাকে কাজ দিতে চাইবে।

পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকা জরুরী

আপনি যদি নিজেকে একজন দক্ষ এবং মানসম্মত ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকা জরুরী একটি বিষয়। কারন আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেখানে নিজেই ক্রেতাদের কাছে আরও পেশাগত ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন।

এবং ওয়েবসাইটে আপনার কাজের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন কিংবা আপনার ওয়েবসাইটে স্যাম্পল হিসেবে আরো একটি কাজ করে রাখতে পারবেন। ভাইয়া নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কার কাছে কাজ করাতে চায় না তবে এক্ষেত্রে আপনার একটি সুন্দর এবং প্রফেশনাল মানে যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনার কাজ সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।

সব সময় একটিভ থাকতে হবে

আপনার তৎপরতা এবং সক্রিয়তা ব্যস্ততা শুধুমাত্র কাজের ডেডিকেশন এবং কমিটমেন্ট সম্পর্কে ধারণা দেয় না বরং এটি আপনার সেলার লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি ক্লায়েন্টের মেসেজের দ্রুত উত্তর দিতে পারেন এবং সাথে সাথে কাজটি করে দিতে পারেন তাহলে আপনার গিগ খুব সহজেই রেংক করবে। অর্থাৎ আপনাকে ফাইবারের সব সময় একটিভ থাকতে হবে।

ক্লায়েন্ট নির্বাচনে সতর্কতা

অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যখন আপনি কাজ পাবেন তখন সব ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কিন্তু সুখকর হবে না। ভাই কাজ শুরু করার আগে ক্লাইন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনাকে জানতে হবে এবং খুঁজে বের করতে হবে। আপনাকে আপওয়ার্কে ক্লায়েন্টের রেটিং,টাকা পরিষদের পদ্ধতি এবং আপওয়ার্কে এর আগে কোন কাজ করিয়াছেন কিনা এই সম্পর্কে ইতিহাস গুলো আপনাকে আগে জানতে হবে।

কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করা

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার জন্য সঠিকভাবে কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ বেশিরভাগ ক্লায়েন্টি যেহেতু পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে হয়ে থাকে যার জন্য তাদের অধিকাংশের ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। ক্লায়েন্টের সাথে সুন্দরভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য আপনাকে ভালোভাবে ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে।

এবং ইংরেজি ভাষার ওপর আপনার দক্ষ হতে হবে। মনে রাখবেন ইংরেজি শিখার ব্যতীত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে আপনি বেশি দূর এগোতে পারবেন না। আর আপনি যদি ঠিকঠাক ভাবে ইংরেজি না শিখতে পারেন তাহলে আপনি বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশন ভালোভাবে করতে পারবেন না যার কারণে আপনি ক্লায়েন্ট ধরে রাখতে পারবেন না।
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫

আপওয়ার্ক থেকে কিভাবে বাংলাদেশে পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব

আপওয়ার্ক থেকে কিভাবে বাংলাদেশে পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব চলুন জেনে নেই। আমাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের কাজ করে তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানা উচিত। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপওয়ার্ক। আপনি যদি বাংলাদেশে বসে এই আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আপনি টাকা তুলে নিতে পারবেন।

আপনার যদি কোন ব্যাংক থাকে তাহলে তার মাধ্যমে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের নামের সাথে ব্যাংক একাউন্ট নামের মিল থাকতে হবে। শুধু নাম মিল থাকলেই চলবে না বরং অন্যান্য ইনফরমেশন গুলো মিল থাকতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তুলতে চান তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ফি প্রদান করতে হবে। প্রতিবার আপনাকে $4.99 ফি প্রদান করতে হবে। এরপর তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আপনার টাকা ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে। এভাবে আপনি যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং তথ্যগুলো সঠিক হতে হবে।

বর্তমানে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কোন কাজে চাহিদা বেশি

বর্তমানে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কোন কাজে চাহিদা বেশি নিয়ে আমাদের মনে অনেকের প্রশ্ন। আসলে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে বেশ কিছু কাজের চাহিদা অনেক বিখ্যাত। আপনি এই ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারবেন বর্তমানে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কোন কাজে চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখান থেকে আপনি আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কোন কাজের চাহিদা বেশিঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমান অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা সাধারণত বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনাকে বুঝে থাকি। অর্থাৎ অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস প্রচার-প্রচারণাকে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং। 

আর সেটা যদি আপনি অফলাইনে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার কিংবা লিফলেট দরকার হবে। অথবা দরকার হবে মাইকিং। ঠিক তেমনি অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন ধরুনঃ
  • এসিও করা।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং করা।
  • এড ম্যানেজার মনিটরিং করা।
  • সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করা এবং
  • সিপিএ মার্কেটিং করা।
এ সকল সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলোকে একত্রে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন হল আপনার সৃজনশীল তাকে কাজে লাগিয়ে রং রেখার মাধ্যমে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করা। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখিয়ে এর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসে আপনি খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে বিভিন্ন কাজ রয়েছে। যেমনঃ
  • লোগো ডিজাইন।
  • বিভিন্ন ব্যানারের ডিজাইন।
  • বিজনেস কার্ড ডিজাইন।
  • বিভিন্ন প্যাকেজিং ডিজাইন কিংবা
  • টিশার্ট ডিজাইন।
  • বুক কভার ডিজাইন।
আপনি যদি এসব কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তবে সহজেই অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে কাজ পেতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ডেভেলপমেন্ট এর কাজ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের ভেতরের এবং বাইরের অংশ বিভিন্নভাবে সাজানো। ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। কিন্তু আপনি জানেন না যে ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি কিভাবে তৈরি করবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি একজন ওয়েব ডেভলপারকে হায়ার করবেন।আর এই ওয়েব ডেভলপার আপনি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে পাবেন।

বর্তমানে ওয়েব ডেভলপমেন্টের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন তাহলে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার একটি প্রক্রিয়া। বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কাজটি বেশিরভাগ আউটসোর্সিং এর অন্তর্ভুক্ত। আমরা যে অ্যাপসগুলো বর্তমানে মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে থাকি সেগুলো কিন্তু এটারই এক অংশ। বর্তমানে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের খুব চাহিদা রয়েছে।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম কিভাবে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজের অর্ডার পাওয়ার টেকনিক ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছারাও আরও জানলাম র্তমানে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url