বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন জানুন বিস্তারিত

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রিয় পাঠক আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিকাশের ব্যবস্থা করতে চাচ্ছে কিংবা বিকাশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে এজন্য তারা বিভিন্নভাবে গুগল সার্চ করে থাকে। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। নতুন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো সব তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন জানুন বিস্তারিত

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার পরে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবেন। এখন অনেকেই হয়তো জানে না যে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা এখন খুবই ভালো একটি লাভজনক ব্যবসা।

অনেক যুবক রয়েছে যারা এখন বিকাশে ভালো ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে এবং তাদের সংসার চালাচ্ছে। কিন্তু এখনো অনেকে বিকাশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানে না। প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে বিকাশ সম্পর্কে অনেক তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আগে থেকে পড়বেন।

এবং বিকাশ বিষয়ক সবকিছু তথ্য জেনে নিবেন। বিকাশ নিয়ে যত প্রশ্ন আছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি প্রশ্ন হচ্ছে বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা? চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বিকাশ এজেন্ট কমিশন আসলে কত টাকা।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা

বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট কমিশন প্রতি হাজারে ৩.৭৫ টাকা হিসেবে ধরা হয়। শতকরা হিসেবে ধরতে গেলে বিকাশ এজেন্ট কমিশন ০.৩৭৫ টাকা। অর্থাৎ একজন বিকাশ এজেন্ট ১০০০ টাকা যদি ক্যাশ ইন করে তাহলে সে ৩.৭৫ টাকা কমিশন পাবে। আবার বিকাশ এজেন্ট ১০০ টাকা ক্যাশ ইন করতে কমিশন পাবে ০.৩৭৫ টাকা।

এই হিসাব করলে বিকাশ এজেন্ট ৫০০ টাকা ক্যাশ ইন করলে কমিশন পাবে ১.৮৮ টাকা। বিকাশ এজেন্ট অ্যাপস থেকে কিংবা * ২৪৭# কোড ডায়াল করে প্রতি হাজারে কমিশন পাবে ৩.৭৫ টাকা। বিকাশ এজেন্ট কমিশন এক সময়ে প্রতি হাজারে ৪.২০পয়সা ছিল তারপর ২০২০ সালে বিকাশ এজেন্ট কমিশন কমিয়ে চার টাকা করা হয়েছিল।

তবে সর্বশেষ ২০২৩ সালের শুরু থেকে এদের কমিশন প্রতি এক হাজার টাকায় ৩.৭৫ টাকা করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ এখন সারা বাংলাদেশের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছে। এই জন্য বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে এখন অনেকেই আগ্রহী। কিন্তু এখন বিকাশ এজেন্ট নিতে চাইলে বিকাশ কমিশন সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে ধারণা রাখতে হবে। পুরোপুরি বিষয়টা জানার পরে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন কমিশন কত টাকা

বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট উভয় ক্ষেত্রে কমিশন রয়েছে। প্রিয় পাঠক বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত এই সম্পর্কে এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম। তবে এখন জানব বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন কমিশন কত টাকা। বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করলে উভয় ক্ষেত্রে কমিশন পাওয়া যায়। এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।

আবার অনেকেই জানে। তবে বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট উভয় ক্ষেত্রে সমান কমিশন পাওয়া যায়। । যে পদ্ধতিতে বিকাশ এজেন্ট থেকে বিকাশ পার্সোনাল নাম্বারে টাকা সেট করা হয় সেই পদ্ধতিতে সাধারণত বিকাশ ক্যাশ ইন বলা হয়ে থাকে। তবে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে বিকাশ এজেন্ট কমিশন ৩.৭৫ টাকা।

বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন কমিশন প্রতি হাজারে যদি ৩.৭৫ টাকা হয় অর্থাৎ একজন বিকাশ এজেন্ট যদি ৫০০০ টাকা ক্যাশ ইন করে তাহলে সে কমিশন পাবে ১৮.৭৫ টাকা। অর্থাৎ বিকাশ এদের থেকে যদি কেউ ১০০০০ টাকা ক্যাশ ইন করতে চায় তাহলে বিকাশ এজেন্ট তাকে প্রফিট দিবে ৩৭.৫০ টাকা।

বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ আউট কমিশন কত টাকা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন কমিশন কত টাকা। তবে এখন জানব বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ আউট কমিশন আসলে কত টাকা। যে পদ্ধতিতে সাধারণত বিকাশ পার্সোনাল নাম্বার থেকে বিকাশ এজেন্ট নম্বরে টাকা সেন্ড করা হয় সেই পদ্ধতিতে বিকাশ ক্যাশ আউট বলা হয়ে থাকে।

আর এর মধ্যে আমরা জেনেছি যে বিকাশ ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট কমিশন সমান অর্থাৎ হাজারে ৩.৭৫ টাকা। অর্থাৎ বিকাশ ক্যাশ ইন কমিশন করে যে টাকা পাওয়া যাবে ক্যাশ আউট কমিশন করেও একই সমান টাকা পাওয়া যাবে। প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট কমিশন কত টাকা।

বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন

যারা বিকাশ নিয়ে ব্যবসা করতে চায় কিংবা ব্যবসা শুরু করেছে তারা আসলে জানতে চাই যে বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন। সুপ্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন হয়। বিকাশ ব্যবসায়ীর লাভ কেমন হবে সেটা আসলে নির্ভর করে আপনার স্থান নির্ধারণের ওপর।

আপনি যেই সালে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান আসলে ওই স্থানে আপনার বিকাশে কি পরিমান লেনদেন হবে তার উপর আপনার লাভ লস নির্ভর করবে। ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট উভয় প্রকার লেনদেন যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ হয়ে থাকে তাহলে এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বিকাশ থেকে একজন এজেন্ট কমপক্ষে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আনা আছে ইনকাম করতে পারবে।

বিকাশ ব্যবসার প্রফিট নির্ভর করছে টোটালি আপনার জায়গা নির্ধারণের ওপর। আপনি কোন জায়গায় ব্যবসাটা করছেন এবং সেখানে জনসমাগম কেমন সেগুলোর ওপর নির্ভর করে আপনি বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আপনার বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায় যদি লাভ করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি ভালো জায়গা নির্ধারণের চেষ্টা করবেন।

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে সাধারণত তেমন কোনো বেশি মূলধনের প্রয়োজন নেই আপনি মাত্র ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে সঠিক জায়গায় ব্যবসা করতে হবে। যেমন ধরুন হাট বাজার, শিল্প প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে, বাস স্ট্যান্ড বা কিংবা শপিং মলের আশেপাশে ইত্যাদির জায়গায় বিকাশ ব্যবসা করতে হবে।

ঠিকমতো সঠিক জায়গায় ব্যবস্থা করতে পারলে আপনি দিনে ঘরে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্টের সুবিধা এবং লাভ কি কি

যে কোন ব্যবসার পাশাপাশি আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাটি চালু করে দিতে পারেন। এটা সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা। আপনি একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন কিভাবে অন্যান্য ব্যবসার সাথে বিকাশ ব্যবস্থা চলছে। বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থাকলে কোন রকম লিমিটেশন ছাড়াই আপনি লেনদেন করতে পারবেন যেকোনো সময়।

আপনার বিকাশ এজেন্টে আউট হলেও আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি টাকা বিকাশ থেকে নগদে ক্যাশ করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাতে লাভ করার জন্য আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ধরুন একজন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট থেকে প্রতিটি সকল পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খুলে ইনস্ট্যান্ট ২০ টাকা ক্যাশব্যাক বা কমিশন পেয়ে যাবেন।

 এছাড়াও আপনি যদি আপনার পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট সতর করেন তাহলে আপনি আরো কিছু কমিশন পাবেন। এছাড়াও অনেক বিকাশ এজেন্ট পার্সোনাল একাউন্ট চালু করে বেশ কিছু কমিশন পেয়ে থাকে। এজন্য আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাতে লাভ করতে চান তাহলে আপনার নিজের বিকাশ চালু করুন এবং বাড়তি একটি সুবিধা ভোগ করুন।

বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট

বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট বলতে সাধারণত বুঝায় একজন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে অন্য এজেন্টের কাছে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করা কিংবা এইসব লেনদেন। এই লেনদেন করতে সাধারণত বিকাশ অ্যাপ কিংবা * ২৪৭# ডায়াল করা যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রিয় এদের সেট করে আপনি খুবই কম খরচে ক্যাশ আউটের সুবিধা ও পেয়ে যাবেন।

বিকাশ এজেন্ট ও এজেন্ট লেনদেনের কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন ধরুনঃ
  • বিকাশ গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এজেন্ট একাউন্টে টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবে।
  • আবার বিকাশ গ্রাহকরা এজেন্ট একাউন্ট থেকে তাদের একাউন্টে টাকা ক্যাশ ইন করতে পারবে।
  • গ্রাহকরা যদি তাদের পছন্দের দুইজন এজেন্টকে প্রিয় এজেন্ট হিসেবে সেট করতে পারে তাহলে এতে করে প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করতে পারবে মাত্র হাজারে ১৪.৯০ টাকায়।
  • এছাড়াও কেউ এজেন্ট ছাড়া অন্য এজেন্ট এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করলে হাজারে ১৮.৫০ টাকা চার্জ দিতে হবে।
  • গ্রাহকরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা থেকে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এজেন্ট এবং এটিএম এর মাধ্যমে।

বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বিকাশের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে এজেন্ট হন অপশনটি খুজে বের করে তারপর সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি আবেদন ফরম পূরণ করে সেখানে জমা দিতে হবে। আপনার সমস্ত তথ্য দিয়ে আবেদন পূরণ করার পর বিকাশ আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো তারা নিজেরাই নিবে এবং আপনাকে জানাবো।

 বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত আপনাকে বিকাশ ওয়েবসাইট খুঁজে সেখানে এজেন্ট অপশনটি খুঁজে বের করে আবেদন করতে হবে। এরপর আপনার অপেক্ষা করতে হবে। কেননা বিকাশ আপনার আবেদন পর্যালোচনা করে এজেন্ট হওয়ার জন্য যোগ্য হলে আপনার সাথে তবেই যোগাযোগ করবে।

এরপর আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইবে। সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ট্রেড লাইসেন্স যদি থাকে এইসব যাবতীয় তথ্য তারা চাইবে। তারপর আপনাকে এজেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করবে। আপনি যদি এজেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে যান তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।

এরপর সিম এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম তারা প্রশিক্ষণ শেষে আপনাকে সরবরাহ করবে। তবে বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছর বয়সের বেশি হতে হবে। বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে এবং এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য সৎ ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে। ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হবে।

আপনি যদি এই সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে সবকিছু তথ্য প্রদান করতে পারেন তাহলে বিকাশ এজেন্ট সিম নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন সে সম্পর্কে পাঠকের কিছু প্রশ্ন।

১.বিকাশের সর্বনিম্ন কত টাকা সেন্ড মানি করা যায়?
বিকাশ এবং নগদ উভয় খেতে সর্বনিম্ন ৫ টাকা , সেন্ড মানে করা যায় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কম কিংবা বেশি হতে পারে। প্রতি লেনদেনের সর্বনিম্ন এক টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি করা যায় বিকাশে। তবে প্রিয় নাম্বারে ৫০ টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি করতে কোন টাকা কাটে না।
২.বিকাশ রেমিটেন্স এর সর্বোচ্চ লিমিট কত?
বিকাশ রেমিটেন্সের সর্বোচ্চ লিমিট ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯৫১ টাকা। তবে এই অর্থের সাথে ২.৫% সরকারি প্রণোদনায় প্রদান করা হবে। তবে প্রতি লেনদেনের সর্বনিম্ন ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে হবে।
৩.বিকাশ টু ব্যাংকের সর্বোচ্চ লিমিট কত?
একজন বিকাশ গ্রাহক এবং একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ দিনে ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসের সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিকাশ টু ব্যাংক করতে পারবেন। এর বেশি করা যাবে না। তবে সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতারণামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আপনার বিকাশ একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য এই লিমিট পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪.বিকাশে সর্বোচ্চ কত টাকার লোন দেয়?
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল লোন নিতে পারবেন।
৫.বিকাশে একবারে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়?
বিকাশে একবারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো যায় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর সীমা কম হতে পারে। তবে প্রিয় নাম্বারে সেন্ড মানি করলে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফ্রি সেন্ড মানি করা যায়।
৬.বিকাশ টু ব্যাংক চার্জ কত?
ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশ ব্যাংক করতে হলে একাউন্টে ট্রান্সফার মানি করার ক্ষেত্রে ১.১৫% টাকা চার্জ দিতে হবে।
৭.বিকাশ থেকে মাসিক সর্বোচ্চ ক্যাশ আউট লিমিট কত?
বিকাশে মাসিক লেনদেনের সীমা হচ্ছে মাসে তিন লক্ষ টাকা। অর্থাৎ একজন বিকাশ গ্রাহক তার একাউন্ট থেকে এক মাসের সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।
৮.বিকাশে প্রিয় এজেন্ট কয়টি করা যায়?
বিকাশের প্রিয় এজেন্ট নাম্বার হিসেবে যেকোনো দুইটি বিকাশ এজেন্ট নাম্বার আপনি বেছে নিতে পারবেন। আপনি প্রিয় এজেন্ট নাম্বার থেকে ১.৪৯% চার্জের ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত-বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url