১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে জানুন

 ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে সর্বপ্রথম আপনার ব্যবসা আইডিয়া এবং আপনার পুঁজি সম্পর্কে জানতে হবে। আপনার পুঁজি কতখানি আছে সে অনুযায়ী ভিত্তি করে আপনাকে ব্যবসার আইডিয়া করতে হবে।

১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এক লাখ টাকার ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি করে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবেন। আমার আরডিকেলে আজকে বিভিন্ন ধরনের নতুন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকবেন।.

১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে জানুন

সব ধরনের ব্যবসা করতে হলে মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন হয় না। মাত্র এক লক্ষ টাকার পুঁজি নিয়ে আপনি বেশ ভালো মানের কিছু ব্যবস্থা করতে পারবেন। এক লাখ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার উপায় রয়েছে। হতে পারে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পোশাক কিংবা অলংকার বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন।

আবারও আপনি অনলাইনে নার্সারি দোকান দিতে পারেন কিংবা ফাস্টফুডের দোকান দিতে পারেন। অথবা ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা চালু করতে পারেন। অন্যদিকে চা সিঙ্গারার দোকান কিংবা ফলের জুস অথবা মুদি দোকান কিংবা জামা কাপড়ের ছোট কিছু ব্যবসা করতে পারেন।এগুলো ব্যবহার করতে এক লাখ টাকার মধ্যে অনায়াসেই হয়ে যাবে।

প্রিয় বন্ধুরা চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যঃ

অনলাইনে বিভিন্ন পোশাক কিংবা অলংকার বিক্রির ব্যবসা

মানুষ ইদানিং আধুনিক বিভিন্ন পোশাক এবং অলংকারের প্রতি বেশী আকৃষ্ট হয়ে থাকে। আপনি পাইকারি বিভিন্ন মার্কেট থেকে নিজের পছন্দমত কিছু জামা কাপড় কিংবা জুয়েলারি কিনে অনলাইনে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে বিভিন্ন ছবি কিংবা লাইভে এসে প্রোডাক্ট বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন। সেগুলো গ্রাহকের সামনে আপনার তুলে ধরতে হবে ভালোভাবে।

প্রথমত মাত্র দশ থেকে বিশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রথম দিকে খুবই ছোট পরিসরের শুরু করলেও পরবর্তীতে আপনি ধীরে ধীরে এই ব্যবসা বাড়াতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পোশাক নিয়ে কিংবা অলংকারের দোকান নিয়ে আপনি বাজারে বসতে পারেন।

বাজারে ভালো কোন জায়গায় একটি দোকান ঘর নিয়ে সেখানে পোশাক কিংবা অলংকার বিক্রি করতে পারেন। এতে করে এখানেও আপনার লাভ হবে। তবে এই ধরনের ব্যবসা করতে আপনার এলাকা এবং আপনার দক্ষতা এবং লোকজনের পছন্দ মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করতে হবে।

অনলাইনে নার্সারি ব্যবসা

অনলাইনে নার্সারি ব্যবসা শুনে অনেকে এখন অবাক হতে পারেন। কিন্তু প্রিয় পাঠক বর্তমানে আমাদের শহরের সৌখিন কিছু মানুষজন তাদের নিজেদের ঘর সাজানোর জন্য এমন কিছু গাছপালা চাই যেগুলো সচরাচর বাজারে পাওয়া যায় না। আপনি কিছু গাছ নিয়ে অনলাইনে একটি নার্সারির ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

আপনার যদি বাগান করার মত ছোট পরিসরে কোন জায়গা থাকে তাহলে সেখানে আজকে থেকে বাগান করে ফেলুন। আপনার বাগানে ইউনিক ইউনিক কিছু গাছ রাখতে পারেন। এবং পরবর্তীতে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে আপনার গাছের সুন্দর কিছু ছবি আপলোড করতে পারেন। এতে করে গ্রাহকরা আকৃষ্ট হবে এবং আপনার কাজ কিনতে চাইবে।

এভাবে আপনি গাছ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। এই ব্যবসা করতে আপনার খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না। প্রথমত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এভাবে আস্তে আস্তে আপনি ব্যবসা বড় করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফাস্ট ফুডের দোকান

আজকাল শহরের বিভিন্ন জায়গায় খেয়াল করলে দেখা যায় আশেপাশে অনেক ফার্স্ট ফুডের দোকানের বেশ চাহিদা রয়েছে। এমনকি বর্তমানে ফাস্টফুডের বিভিন্ন খাবারের বেশ চাহিদা রয়েছে। মাত্র এক লাখ টাকা কিংবা তার চেয়ে খুবই কম মূলধন ব্যবহার করে আপনি খুবই ছোট পরিসরে একটি ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে দিতে পারবেন।

স্টুডেন্ট বাজেটের মধ্যে কিছু মুখরোচক খাবার আপনি আপনার দোকানে সেল করতে পারেন। তবে এই ধরনের ব্যবস্থা করার আগে কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং কাঁচামাল সরবরাহের জন্য একটি সঠিক জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। ইদানিং ফাস্ট ফুড এর ব্যবস্থা একটু লাভজনক ব্যবসা। তাই এখান থেকে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

স্বল্প পুঁজির মধ্যে আপনি খুব ভালো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে অনেক বড় জায়গায় এই ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। এভাবেই আপনি ১ লাখ টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা

বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান হলে ক্যাটারিং সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে থাকে অনেকেই। বিভিন্ন অফিস আদালত কিংবা ইভেন্টের খাবার সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে এই ব্যবসাকে আরো বড় জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার এক লাখ টাকার প্রয়োজন নেই বরং তার থেকে অনেক কম টাকায় আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন খুব সহজে।

এই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে কিছু বড় বড় সাইজের হাড়ি পাতিল এবং সুদক্ষ রাধুনী যোগাড় করতে হবে অবশ্যই। ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসার মাধ্যমে আপনি পরিচিতি অর্জন করলে পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা খুবই দ্রুত বড় করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে শহরে অঞ্চলে অনেক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুবাদে অনেক বাসা বাড়িতে কিংবা মেসে ভাড়া থাকে।

তাদের তিন বেলার খাবার চালু করতে পারেন এই ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসার মাধ্যমে। এগুলো ব্যবসাতে অনেক বেশি লাভ হয়। কিন্তু ব্যবসার মানকে ধরে রাখার জন্য অবশ্যই ভালো রাধুনীর প্রয়োজন হবে। সে বিষয়টি অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

চা সিঙ্গারার দোকান

আপনি জেনে অবাক হবেন যে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে একটি যা সিংগারা দোকান দেওয়া সম্ভব। মাত্র ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে পারবেন খুবই সহজে। এই ব্যবসাটি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি ছোটখাটো দোকান ঘর ভাড়া নিতে হবে।সর্বপ্রথম সিঙ্গারা বিক্রি করার জন্য একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে নিবেন এবং হাড়ি পাতিল ও ভালো বাবুর্চি রাখতে হবে।

 যারা খুবই যত্নের সহকারে এবং সুস্বাদু চা এবং সিঙ্গারা বানাতে পারবে। বর্তমানে ছোট পরিষদের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে চা সিঙ্গারার দোকান অন্যতম এটা আমরা সকলেই জানি। বারোমাসি এই ধরনের ব্যবসা জমজমাট চলতে থাকে। এই ধরনের ব্যবসা গুলো যে কোন স্টুডেন্ট চাইলে সামান্য পুঁজি নিয়ে শুরু করতে পারে। এবং অবশেষে তাদের ফ্রী সময়ে এই দোকানটি চালাতে পারে।

ফলের জুসের দোকান

মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন ফলের জুস বিক্রি করতে পারলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। এই ধরনের ব্যবসার শুরু করতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। শহরে অঞ্চলে আমরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে এবং বড় বড় রেস্তোরাতে জুসের দোকান দেখতে পায়। তবে ভালো পজিশন হলে ব্যবসা কিছুটা ভালো হয়।

এই ধরনের দোকানে সাধারণত ফ্রিজ,উন্নত মানের কিছু গ্লাস, প্লেট, ট্রে, ব্লেন্ডার ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। এগুলা বাবদ হয়তো আরো কিছু টাকা আপনার খরচ হবে। তবে এক লাখ টাকা নয় বরং এর কম টাকা খরচ করে আপনি এই ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরনের ব্যবসাতে অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে দেরি কেন আজ থেকে এই ধরনের ছোট ছোট কিছু ব্যবসা আপনি শুরু করে দিতে পারেন।

সার্ভিসিং সেন্টারের ব্যবসা

আমরা সকলেই বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু হুট করে কখন আমাদের মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নষ্ট হয়ে যায় সেটা বলা মুশকিল। এই ধরনের কোন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নষ্ট হয়ে গেলে আমরা সাথে সাথে সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে যায়। সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরে তারা বিভিন্নভাবে আমাদের মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসটি ঠিক করে দেয়।

 কিন্তু এই ধরনের ব্যবসায় শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার সার্ভিসিং বিষয়ে অনেক বেশি দক্ষ হতে হবে। তার জন্য আপনার ছোটখাটো কিছু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে। ঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ছোট পরিসরে সেখানে সার্ভিসিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এভাবেই ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসাটি শুরু হবে এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। ফলে আপনার ব্যবসা আরো বড় হবে। এভাবে আপনি এক লাখ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মুদির দোকানের ব্যবসা

যাদের কাছে নগদ এক লক্ষ টাকা মূলধন রয়েছে তারা চাইলে অনায়াসে একটি মুদির দোকান দিতে পারেন। একটি ভালো পজিশন অনুযায়ী দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে কম পরিসরে কিছু মালামাল যেমন ধরুনঃ চাল,ডাল, তেল, বিস্কুট, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি ক্রয় বিক্রয় শুরু করে দিতে পারেন।

 পরবর্তীতে ব্যবসা শুরু হওয়ার পরে আপনি আরো মালামাল ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি পরবর্তীতে এভাবে ব্যবসা করে আপনার দোকান আরো বাড়াতে পারেন যেহেতু মুদি দোকানের ব্যবসা ১২ মাস থাকে সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভজনক হবে।

এভাবেই আপনি আপনার কাছে থাকা নগদ এক লাখ টাকায় দিয়ে একটি মুদিখানার ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এ ধরনের ব্যবসাতে অনেক বেশি লাভ থাকে।

দুধের সাপ্লাই ব্যবসা

বর্তমানে ভালো মানের গরু দুধের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে। আপনার আশেপাশের যদি উৎকৃষ্ট মানের দুধ কোথাও উৎপাদিত হয়ে থাকে তাহলে আপনি ছোট করে ফেসবুকে একটা পেজ খুলে সেখানে দুধ বিক্রি করতে পারেন। আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি ছাড়া দেখছেন যেখানে সেখানে ডেলিভারি করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে।

তবে এই ব্যবসা করার প্রধান শক্ত হচ্ছে খাঁটি এবং নির্ভেজাল দুধ সময় মত গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো। পরবর্তীতে আপনার ব্যবসায় যখন বড় হয়ে যাবে তখন আপনি দুধ বিক্রি করার পাশাপাশি খাঁটি ঘি, মাখন কিংবা পনির ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।

ই-কমার্স বিজনেস

এমন একটি ব্যবসা প্লাটফর্ম যেখানে আপনি চাইলে যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।আপনার যদি ইতিমধ্যে কোন ধরনের পণ্য কেনা থাকে যা আপনি সেল করতেছেন তাহলে আজ থেকে আপনি চাইলে ই-কমার্সে কনভার্ট করে অনলাইনে সেল করতে পারবেন। বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়ায় ই কমার্স অনেক বড় একটি জায়গায় চলে গেছে এবং অনেক বেশি মানুষ এখান থেকে কেনাবেচা করছে।

তবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে এই বিষয় নিয়ে আপনার পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা খুবই জরুরী। প্রতিটি খুঁটিনাটি স্টেপ সম্পর্কে আপনার তুলনা থাকতে হবে না হলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বড় লসের সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজম

বাঙালিরা সবসময় ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করে।কিন্তু ঘোরাফেরার জন্য অনেক সময় তারা বিভিন্ন ট্যুর গাইডের ওপর নির্ভর করে থাকেন। ফ্লাইট কিংবা ট্রেনের টিকিট বুকিং অথবা হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ করে প্ল্যান করা পুরোটাই দায়িত্ব নিতে হবে আপনার। এক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকা পুঁজি দিয়ে একটি অফিস খুলে ফেলুন।

সেখানে বিভিন্ন স্কুল বা কলেজে স্কুল করাতে পারলে অথবা বিভিন্ন অফিসের ট্যুর করাতে পারলে এখান থেকে আপনি নিয়মিত ব্যবস্থা করতে পারবেন।নিশ্চয়ই এটি কম খরচে লাভজনক একটি ব্যবসা।আপনাকে শুধুমাত্র অফিস নিয়ে বসে থাকলেই হবে না বরং আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যেখান থেকে লোকজন আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

এবং সেই ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট কমিশনের রেট জেনে নিতে পারবেন। বর্তমানে ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজম খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়ার মধ্যে এটি অন্যতম হতে পারে।
১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে জানুন

কাস্টমাইজ করা বিভিন্ন গায়ে হলুদের গয়না তৈরি

আপনি সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের গায়ে হলুদের কাস্টমাইজ করা গয়না তৈরি করার চেষ্টা করুন এবং সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে একটি লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের কাস্টমার করা আকর্ষণীয় ডিজাইনের গয়না তৈরি করুন এবং সেগুলো বাজারে বিক্রি করুন। আজকাল বাজারে এই ব্যবসাটির বেশ ভালো জনপ্রিয়তা রয়েছে।

গায়ে হলুদের জন্য সকলেই এই গয়নাগুলো ব্যবহার করে থাকেন। এই ব্যবসার জন্য আপনার খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন নেই। নিজেই ঘরে বসে এই কাস্টমার গয়নাগুলো তৈরি করে অনলাইনে এবং বাজারে দুই জায়গায় বিক্রি করতে পারবেন এবং এতে করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।

দর্জির দোকান দেওয়া

ছোট কিছু ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া মাথায় আসলেই দর্জির দোকানের কথা ভাবতে পারেন। অর্থাৎ ছোট একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে আপনার দর্জির কাজগুলো শুরু করা যাবে খুব সহজে। তবে মনে রাখুন দর্জির দোকান দেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা থাকতে হবে।কেননা যদি আপনি ভাল কাপড় বানাতে না পারেন তাহলে আপনার দর্জির দোকান ব্যবসা চলবে না।

আপনার বাড়িতে বসে এই কাজটিও করতে পারেন। তবে বিভিন্ন ধরনের পাড়া বা মহল্লায় অথবা বাজারের জনসমাগম অঞ্চলে দর্জির দোকান দিলে আপনার অনেক ভালো ব্যবসা চলবে। আর যদি আপনার বাড়িতে বসে কাজ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনার বাড়িতে ঘরে বসেও করতে পারেন। তবে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি এই কাজগুলোতে বা এই ব্যবসা গুলোতে লাভবান হতে পারবেন।

ফার্নিচার শপের ব্যবসা

বর্তমানে আমাদের দেশে ফার্নিচারের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু মানসম্মত ফার্নিচার সব জায়গায় পাওয়া যায় না এটা আমরা সকলেই জানি। মানসম্মত ফার্নিচারের জন্য আমাদের বেস্ট কোয়ালিটির একটি দোকানে যেতে হয়। আপনি বেস্ট কোয়ালিটির একটি দোকান দিতে পারেন। তবে আপনার এই ব্যবসা করার জন্য পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে এবং ভালো পরিমাণে বাজেট রাখতে হবে।

সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি নিজের মতো করে ফার্নিচার ডিজাইন করে সেটা সেল করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার একজন দক্ষ মিস্ত্রি দরকার হবে। তার মাধ্যম দিয়ে ফার্নিচার বানিয়ে আপনার বেস্ট কোয়ালিটির ফার্নিচারের দোকানে তুলে সেখান থেকে বিক্রি করতে হবে।২০২৫ সালে এসে ফার্নিচার শপের ব্যবসা হতে পারে আপনার স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া।

কফি শপের ব্যবসা

কফি খেতে পছন্দ করে না এরকম লোক খুঁজে পাওয়া বড় দোষের। কমবেশি সকলেই আমরা কফি খেতে পছন্দ করে থাকি।এখন আপনার কাছে মনে হতে পারে কফির শপের আইডিয়াটা অনেক বেশি কমন। কিন্তু আমি বলব কফি শপের আইডিয়াটা অনেক বেশি কমন মনে হলেও এটি খুবই ইফেকটিভ একটি ব্যবসা আইডিয়া।কফি শপ খুলতে গেলে আপনার খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না।

একইভাবে এই শপ দেওয়ার জন্য আপনার খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে না এমন কি বেশি জিনিসপত্রের দরকারও হবে না। শুধুমাত্র একটি ভালো লোকেশন নির্ধারণ করে কফি শপ দিতে হবে। কেননা নির্দিষ্ট একটি লোকেশনে না দিলে কফি শপ ভালো চলবে না।সঠিক জায়গা নির্ধারণ করে একটি কফিশপ দিতে পারলে সেখানে অনেক বেশি কাস্টমার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালের জন্য হতে পারে আপনার একটি স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কয়েকটি কার্যকরী আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।

দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url