প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে জানুন

আপনি কি প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রিয় পাঠক বর্তমান যুগে ইউটিউব ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করা সম্ভব নয় এটা আমরা সকলেই জানি। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয় ২০০৫ সালে। প্রতি মাসে বর্তমানে প্রায় ২০০ কোটি অধিক ব্যবহারকারী সক্রিয়ভাবে ইউটিউব ব্যবহার করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র ইউটিউবের মাধ্যমে শত শত কোটি ডলার আয় করে যাচ্ছে অনেকে। প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সুবিধার্থে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে। জানতে হলে আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন।

প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে জানুন

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আজকাল অনেকেই প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজকে অনলাইন দুনিয়ায় ভিডিও প্রচারণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষ রয়েছে youtube। ছোট থেকে বড় সকলের কাছে ইউটিউবের ভিডিও চাহিদা রয়েছে।

 আজকাল প্রায় সকলেই মানে যারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তারা অধিকাংশ ইউটিউব এর মাধ্যমে ভিডিও দেখে থাকেন। বর্তমানে কোন বিষয়ে আর্টিকেল যে ইউটিউবের ভিডিও দেখার রয়েছে বেশি চাহিদা। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আজকাল সবাই ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে।

শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলা এবং বিভিন্ন বিনোদন সহ সব ধরনের ভিডিও প্রচার করছে ইউটিউবে। তাই আপনি চাইলে আজ থেকেই ঘরে বসে youtube চ্যানেল খুলে যে কোন ধরনের ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। বর্তমানে অনেকের পেশা হিসেবে ইউটিউব বেছে নিয়েছে। এটি সামনে আরো বেগবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আমরা চাইলে নিজেরাই ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ইউটিউবে শেয়ার করতে পারি। যা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে এবং মানুষ বলছে সেটা দেখছে এবং এর মাধ্যমে আমরা আয় করে থাকছি। প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে জানা উচিত।

 ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও দেখার এবং শেয়ার করার একটি ওয়েবসাইট যেখানে পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে সব ভাষার ভিডিও আপলোড হয়ে থাকে। আর এটা সম্পূর্ণ ফ্রি। যারা ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করে থাকে তাদেরকে ইউটিউবের বলা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেই প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কেঃ

প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার প্রথম স্টেপ

ইউটিউব সাধারণত গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। এজন্য youtube চ্যানেল খোলার আগে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট খুলতে হবে। আপনার যদি জিমেইল একাউন্ট না থাকে তাহলে সর্বপ্রথম একটি জিমেইল একাউন্ট খুলে নিতে হবে। জিমেইল একাউন্ট না খুললে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যাবে না। আপনি চাইলে সাধারণত দুই ধরনের ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন।

একটি হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল এবং আরেকটি হচ্ছে ব্র্যান্ড হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল। ব্যক্তিগত চ্যানেল তৈরি করার জন্য জনগণ প্রথম আপনাকে ইউটিউবে ঢুকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউব ওয়েবসাইটে লগইন করে youtube চ্যানেল তৈরি করতে হবে।এরপর প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে "Create a Channel" অপশনে ক্লিক করতে হবে।

সাধারণত আপনার জিমেইল একাউন্ট যে নামে থাকে সেই নামে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়। সরাসরি আপনার জিমেইল একাউন্টের তথ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায়। তবে বর্তমানে যেহেতু ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আয় করা যায় সেজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থাৎ ভালো ফলাফলের জন্য ব্র্যান্ড youtube চ্যানেল খোলা উচিত।

প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার দ্বিতীয় স্টেপ

প্রফেশনাল ভাবে youtube চ্যানেল খুলতে হলে ইউটিউব এর লগইন করার পর ড্যাশবোর্ড সামনে আসবে।এরপর ডান পাশের প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করলে অনেকগুলো অপশন সামনে আসবে। এর মধ্যে 'Setting' অপশনে ক্লিক করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলার কাজ শুরু হয়ে যাবে। এখন আপনি একটি নতুন পেজ তৈরি করতে পারবেন।যেখানে'Your Channel' অপশন দেখাবে। তার ঠিক নিচে আরো কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। সেগুলো হচ্ছেঃ
  • Channel Status and Features
  • Create a New Channel
  • View Advanced Settings
এরপর 'Create a New Channel' অপশনে ক্লিক করলে 'Create Your Channel Name' অপশনটি আসবে। সেখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নাম দিতে হবে। নাম দেওয়ার পরেই ক্লিক করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে এবং সেটা মূলত ব্র্যান্ডের নামে যেন হয়ে থাকে খেয়াল রাখবেন।

প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার তৃতীয় স্টেপ

উপরে দেওয়া ধাপগুলোর মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়ে গেছে। এরপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল আপনার মত করে সাজানোর পালা। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে মনের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে মনের মত করে কাস্টমার করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করতে হবে।

প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করার পরে 'Your Channel' অপশনে ক্লিক করুন।'Your Channel' অপশনে ক্লিক করার পরে আপনি ডানদিকে দেখতে পাবেন 'Customize Channel' নামক অপশন। আপনি সেখানে ক্লিক করে ইউটিউব এর বর্তমান থিম অনুযায়ী তিনটি অপশন আসবে। সেগুলো হলঃLayout,Branding,Basic info.

Basic info তে ক্লিক করে আপনার চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং আপনার সাথে যোগাযোগের মেইল অথবা ভাষা কিংবা বিভিন্ন লিংক শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি Branding অপশনে ক্লিক করেন তখন তিনটি প্রোফাইল পিকচার ব্যানার ইমেজ এবং ভিডিও অপশন দেখতে পাবেন।

এখানে আপনি নিজের মতো করে আপনার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ছবি কিন্তু ভিডিও যোগ করে দিবেন। ধরে রাখবেন youtube চ্যানেল খোলার পরে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হবে। যে সে ভিডিও আপলোড করলে চলবে না বরং আপনাকে সৃজনশীল উপায়ে ভালো মানের ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে।

আপনার ভিডিও ভিউয়ার এর চাহিদা অনুযায়ী ইউনিক হতে হবে। মনে রাখবেন ভিডিওতে যেন কোন রকম কপিরাইট ইস্যু না থাকে। কেননা ইউটিউবে নকল ভিডিও আপলোড দিলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে খুব সহজে আমরা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারি। হাতে থাকা মোবাইল ডিভাইসে যদি একটি ইউটিউব অ্যাপ থাকে এবং একটি জিমেইল একাউন্ট থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি চ্যানেল খুলতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে সর্বপ্রথম আপনাকে ইউটিউব অ্যাপস ডাউনলোড দিয়ে নিতে হবে। এরপর youtube অ্যাপস এর মধ্যে প্রবেশ করলে একদম উপরে ডান পাশ থেকে প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করলে চ্যানেলের নাম দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন খুব সহজেই। চ্যানেলটিতে আপনি কোন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করবেন সেই বিষয়গুলো অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে।

এর সাথে আপনার প্রয়োজনীয় লোকেশন সহ যাবতীয় সকল তথ্য দিয়ে ইউটিউব অ্যাকাউন্ট পরিপূর্ণ করতে হবে। তবে আপনি চাইলে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ইউটিউব ভেরিফাই করে নিতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকে। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন করা খুবই জরুরী। youtube চ্যানেল ভেরিফাই করার অর্থ হচ্ছে এটি বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি নেওয়া।এছাড়া এটি ফেক হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।

এজন্য ইউটিউব চ্যানেল কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার চ্যানেলটি ভেরিফাই করতে হবে। এছাড়াও লম্বা কোন ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনার চ্যানেলটি অবশ্যই ভেরিফাইড হতে হবে। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় যেগুলো ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাইড নয় সে চ্যানেলগুলোতে আপনি মাত্র ১৫ মিনিটের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

আর ভেরিফাই হয়ে যাওয়ার পরে আপনি ইচ্ছামত বড় করে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নিরাপত্তার জন্য ভেরিফাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় পাঠক্রম তাহলে জেনে নেই ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
  • প্রথমেই নিচের ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউবে লগইন করে নিতে হবে।
  • এরপর জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলে একদম ওপরের ডান দিকে প্রোফাইল ফটোতে ক্লিক করলে সেখানে কিছু অপশন দেখা যাবে।
  • সেখান থেকে Youtube Studio অপশনে ক্লিক করে নিতে হবে।
  • এরপর Setting অপশনে গিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের সেটিং পেজে ঢুকতে হবে।
  • তারপর Feature Eligibility অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এই দুটি ধাপ শেষ করার পরে Eligible Option এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
  • সর্বশেষ Verify Phone NUmber অপশনে ক্লিক করুন।
  • মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার জন্য সিলেক্ট করে নিন।
  • এরপর নিজের মোবাইল নাম্বার টাইপ করতে হবে।
  • তারপর আপনার Get Code বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর দেখবেন মোবাইল নাম্বারে ৬ ডিজিট ভেরিফিকেশন কোড আসবে এবং সেখানে কোড দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর Congratulation! Your Phone Number is Now Verified লেখা একটি মেসেজ আসবে। এর মানে হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেছে।

ইউটিউব ভিডিও বানানোর কিছু নিয়ম

Youtube ভিডিও বানানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে ভিডিও বানাতে হবে। এছাড়া ভিডিওটিতে যথেষ্ট পরিমাণ দর্শক আকৃষ্ট করতে পারবে না। ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে হলে ভিডিওর নিশ বা বিষয়বস্তু বাছাই করতে হবে। এরপর আপনার নিশ অনুযায়ী কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।

এরপর সহজে সঠিকভাবে একটি স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে। লেখা হয়ে গেলে সে অনুযায়ী ভিডিওর রেকর্ড অথবা ফুটেজ তৈরি করতে হবে। এরপর ভিডিওটি ভালোভাবে এডিট করতে হবে এবং তারপরে ইউটিউবে সঠিকভাবে আপলোড করতে হবে। এজন্য ইউটিউবে ভিডিও তৈরি সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে ভিডিওর নিশ কিংবা বিষয়বস্তু ঠিক করা।

কারণ কোন বিষয়ের ওপর আপনি ভিডিও তৈরি করবেন সেটা যদি নির্ধারণ করতে না পারেন তাহলে আপনি কোন কাজই সম্পূর্ণ করতে পারবেন না। যেমন ধরুন আপনি রান্না বান্নার ভিডিও আপলোড করতে চাচ্ছেন। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে সেই বিষয়বস্তু নির্ধারণ করতে হবে এবং রান্নাবান্নার টপিক অনুযায়ী আপনাকে কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে।

অবশ্যই আপনার নির্ধারণ করা কিওয়ার্ডই র‍্যাঙ্কে থাকতে হবে। এতে করে খুব কম সময়ের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে ভিডিও এডিট করা। যদি আপনি আকর্ষণীয় ভাবে একটি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত সময় আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হবে।

ইউটিউবের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন

আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে ইউটিউবের ভিডিও তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেলে উপার্জন সক্ষম কিংবা মনিটাইজেশন এলিজাবেল করতে হলে সর্বশেষ বারো মাসে ৪ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে এবং সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা থাকতে হবে সর্বনিম্ন এক হাজার।

যার কারণে দেখা যাচ্ছে কিছুদিন আগেও যেসব ইউটিউব চ্যানেল উপার্জন সক্ষম ছিল এই নতুন নিয়মের কারণে সেগুলো উপার্জন অক্ষম বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করার নতুন কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। যার কারণে দেখা যাচ্ছে এসব নিয়ম মেনে না চলার কারণে চার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকা সত্ত্বেও আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাচ্ছে না।

ইউটিউবের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কিছু কনটেন্ট আপনার তৈরি করা যাবে না। যেমন ধরুন হ্যাকিং কন্টেন্ট তৈরি করা যাবে না। অনেকেই ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ বাড়ানোর জন্য হ্যাকিং কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করে। কিন্তু ইউটিউবের নীতিমালা ভিডিও তৈরি করতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কোনরকম সেক্সুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না।

আমরা দেখেছি ইউটিউব চ্যানেলে ভিউয়ার সবচেয়ে বেশি আসক্ত হয় পর্নগ্রাফি কিংবা এডাল্ট ভিডিওতে। তাই এই ধরনের প্লাটফর্ম নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা বন্ধ করতে হবে। কিংবা এরকম ভিডিও কিংবা ছবি প্রকাশ করা যাবে না।

ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায়

ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য অবশ্যই কিছু সময় লাগবে। এছাড়াও আপনি কিছু টিপস ফলো করতে পারেন যার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো যায়। সর্বপ্রথম আপনি এডিট প্রক্রিয়া সহজে করার জন্য ভালো একটি এডিট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এরপর অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে।

কি রকম বিষয় নিয়ে ভিডিও আপলোড করবেন সেটা অবশ্যই আপনাকে প্ল্যান করে রাখতে হবে আগে থেকে। চার্জ এবং এসিও ভালোভাবে করতে হবে যাতে করে ভিডিও টাইটেল অপটিমাইজেশন ভালো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার নেটওয়ার্ক অবশ্যই বাড়াতে হবে। ভিডিও প্রেক্ষিতে আসা কমেন্টের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

অন্যদিকে আপনার ভিউয়াররা যে ধরনের ভিডিও চাই সে ধরনের ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলের লিংক গুলো অবশ্যই আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন এবং বন্ধুদের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।এভাবেই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারবেন।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন কিভাবে

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন কিভাবে এটা নিয়ে অবশ্যই আপনার জেনে থাকা উচিত। কেন না শুধুমাত্র ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরি করলেই হবে না বরং এটি সঠিক ভাবে আপলোড করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব অ্যাপ ওপেন করতে হবে।

যদি আপনি মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে আপনার আপলোডের ভিডিও সিলেক্ট করার পর করতে হবে এবং অবশ্যই ভিডিওর টাইটেল ডেসক্রিপশন ইত্যাদি দিতে হবে। এরপর ভিডিও আপলোড হয়ে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। অন্যদিকে যদি আপনি কম্পিউটার থেকে বার ল্যাপটপ থেকে ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম জিমেইল আইডি সাইন ইন করে নিতে হবে।

 এরপর youtube এ থাকা করে আপলোড করার ভিডিওটি ক্লিক করতে হবে। সিলেক্ট করে ফাইল টু আপলোড কনটেন্ট বেছে নিতে হবে। এরপর ভিডিও সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং ক্যাটাগরি ও টাইটেল ভালোভাবে লেখার পরে নেক্সট বাটনের চাপ দিয়ে ভিডিও আপলোড করে দিতে হবে। এভাবেই আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম প্রফেশনালভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছারাও আরও জানলাম মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো,ইউটিউব ভিডিও বানানোর কিছু নিয়ম,ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন কিভাবে এবং ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।

আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url